কলকাতায় কলেরার থাবা, হাওড়ায় বাড়ছে আন্ত্রিক আতঙ্ক
একটানা বর্ষায় শহর চলে গিয়েছিল হাঁটু জলে। ঘূর্ণাবর্ত সরে যাওয়ায় কমেছে বৃষ্টি। নামতে শুরু করেছে জল। তবে এখনও জল জমে রয়েছে কলকাতার জায়গায় জায়গায়। আর জমা জলই এখন রোগ ব্যাধির আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। আন্ত্রিক আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই কলেরার থাবা কলকাতায়। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে পেটের সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা একে শুধুই ডায়রিয়া মানতে নারাজ। চিকিৎসকদের মতে এটা একধরনের কলেরা।
ওয়েব ডেস্ক: একটানা বর্ষায় শহর চলে গিয়েছিল হাঁটু জলে। ঘূর্ণাবর্ত সরে যাওয়ায় কমেছে বৃষ্টি। নামতে শুরু করেছে জল। তবে এখনও জল জমে রয়েছে কলকাতার জায়গায় জায়গায়। আর জমা জলই এখন রোগ ব্যাধির আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। আন্ত্রিক আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই কলেরার থাবা কলকাতায়। শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে পেটের সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা একে শুধুই ডায়রিয়া মানতে নারাজ। চিকিৎসকদের মতে এটা একধরনের কলেরা।
কলকাতায় জ্বর সহ আরও নানান উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বহু মানুষ। যাদের মল ও রক্ত পরীক্ষা করার পর তাতে কলেরার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। কলেরাকে প্রতিহত করার কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই বলেই জানিয়েছেন তারা। প্রতিষেধক বলতে একমাত্র ORS বা স্যালাইনই হল কলেরা প্রতিহত করার একমাত্র ওষুধ। ডায়রিয়ার তুলনায় কলেরা অনেক বিপজ্জনক। কলেরায় মৃত্যুর হার ডায়রিয়াতে মৃত্যুর হারের থেকে অনেক বেশি।
জল নামতেই কলকাতার মতই জলবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে হাওড়াতেও। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সত্যবালা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে অন্তত ৩৫টি শিশু। তবে আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতার লাফিয়ে লাফিয়ে না বাড়ায় এখনই এটিকে আন্ত্রিক বলতে নারাজ জেলা স্বস্থ্য দফতর। প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন করে ভর্তি হচ্ছেন। তাই হাসপাতালের সুপার সুস্মিতা রায়চৌধুরীও একে ডায়রিয়া বলেই মনে করছেন। বৃষ্টির সময় জলমগ্ন এলাকায় অসুধ বিতরণ করেছিল হাওড়া পুরসভা। জল সরতেই শুরু হয়েছে মানুষকে রোগ সম্পর্কে সচেতন করার কাজ।