ক্রাইস্টচার্চ স্কুলের ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা
ক্রাইস্টচার্চ স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোষীদের বদলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরপরাধ এলাকাবাসীকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ক্রাইস্টচার্চ স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোষীদের বদলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরপরাধ এলাকাবাসীকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ক্রাইস্টচার্চ স্কুলে তখন চলছে বেপরোয়া ভাঙচুর। বাড়ির উল্টোদিকের স্কুলে তাণ্ডব চলতে দেখে আরও অনেকের মতোই রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই ভাই আকাশ ও সায়ন ভট্টাচার্য। পাড়ারই এক মহিলাকে হামলাকারীদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি। সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান।
শনিবার মাঝরাতে কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়াই দুভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিস।
রাজনীতির রং দেখেই দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ সায়ন-আকাশের বাবার।
বৃহস্পতিবার স্কুলে ভাঙচুরের সময় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনার দুদিন পর তত্পর হয় পুলিস। শুরু হয় ধরপাকড়।
ক্রাইস্ট চার্চ স্কুক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বিরোধী দলনেতার কাছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন ঐন্দ্রিলার পরিবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হওয়া উচিত্ বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।
স্কুলের ক্লাস ফাইভের ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের মৃত্যুর পরে গত বৃহস্পতিবার স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। নিন্দার ঝড় ওঠে রাজ্যজুড়ে। ভাঙচুরে যুক্ত অভিভাবকদের অনেকেও অনুশোচনা প্রকাশ করেন। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত যা ছিল না, রবিবার সেটাই করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সল্টলেকে ঘুড়ি উত্সবে যোগ দিতে গিয়ে মুকুল রায় ভাঙচুর কাণ্ডে লাগিয়ে দিলেন রাজনীতির রং।
মুকুল রায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
রবিবারই ঐন্দ্রিলার বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি তুলেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর কাছে ঐন্দ্রিলার পরিবার নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়।
ঐন্দ্রিলার পরিবারের ওই অভিযোগ পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নটা আরও জোরাল করেছে। পুলিস নার্সিংহোম বা চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলেও স্কুলের অধ্যক্ষাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও দায়ের করেছে পুলিস। ঐন্দ্রিলার চিকিত্সা সংক্রান্ত গাফিলতি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলের অধ্যক্ষার গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।