শিল্পের জন্য জমি দিতে হবে রাজ্যকেই, মত সিআইআইয়ের
মুম্বইয়ের শিল্পসম্মেলনে তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের হাজিরায় তৃপ্ত রাজ্য সরকার। তৃপ্তির সেই আবেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই শহরে এসে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়ালেন বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস গোপালকৃষ্ণণ। তিনি বলে গেলেন, শিল্পের জন্য জমি লাগবেই। জমির ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
মুম্বইয়ের শিল্পসম্মেলনে তাবড় তাবড় শিল্পপতিদের হাজিরায় তৃপ্ত রাজ্য সরকার। তৃপ্তির সেই আবেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই শহরে এসে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়ালেন বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস গোপালকৃষ্ণণ। তিনি বলে গেলেন, শিল্পের জন্য জমি লাগবেই। জমির ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করবে না রাজ্য সরকার। শিল্পপতিকেই জমির ব্যবস্থা করে নিতে হবে। এই অবস্থানে এখনও অনড় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বারবার শিল্প সম্মেলনের মাধ্যমে বিনিয়োগ টানার চেষ্টা হলেও জমিনীতির সমস্যায় কার্যত থমকে রয়েছে শিল্পায়ন। জমির সমস্যাই যে রাজ্যে শিল্পায়নের মূল অন্তরায়, সোমবার শহরে এসে ফের তা স্পষ্ট করলেন বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস গোপালকৃষ্ণণ।
২০১২-১৩ আর্থিক বছরে রাজ্যে মাত্র ৩২৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এই বেহাল পরিণতির জন্য রাজ্যের জমি নীতিই অন্যতম কারণ বলে ধারণা শিল্পমহলের। বারবার আবেদন সত্ত্বেও, রাজ্য জমির ব্যবস্থা না করায়, একাধিক সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বাতিল করে দিতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শিল্পপতিদের জমি কিনতে অসুবিধা নেই। কিন্তু যেখানে জমির মালিকানা ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত, সেখানে বড় প্রকল্প গড়তে গেলে রাজ্য সরকারকেই জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
মুম্বইয়ের শিল্পসম্মেলনে শিল্পপতিদের উপস্থিতি রাজ্য সরকারের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু সিআইআইয়ের প্রেসিডেন্ট এসে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, উপস্থিতি যতই ঝলমলে হোক না কেন, বিনিয়োগে আবেগের জায়গা নেই। সেখানে বাস্তবই শেষ কথা।