মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ফের বণিকসভায় সরকারের জমি নীতি নিয়ে প্রশ্ন
ফের বণিকসভায় সরকারের জমি নীতি নিয়ে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্ন উঠল মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই। রাজ্যে লগ্নি টানতে মরিয়া হলেও, জমির প্রশ্নে তিনি যে অনড়ই থাকছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআইআইয়ের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, শিল্পপতিদের পছন্দমত জমি নয়, জমি নিতে হবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকেই।
ওয়েব ডেস্ক: ফের বণিকসভায় সরকারের জমি নীতি নিয়ে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্ন উঠল মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই। রাজ্যে লগ্নি টানতে মরিয়া হলেও, জমির প্রশ্নে তিনি যে অনড়ই থাকছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিআইআইয়ের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, শিল্পপতিদের পছন্দমত জমি নয়, জমি নিতে হবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকেই।
কলকাতায় CII-র ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক। উপস্থিত দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। ছিলেন আদি গোদরেজ, রাহুল বাজাজ, বিনায়ক চ্যাটার্জি, নৌশাদ ফোবস, ভেনু শ্রীনিবাসন, সুবোধ ভার্গবরা। আর এই প্রথম বণিকসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, তা নিয়েই আগ্রহী ছিল শিল্পমহল। শুরুতেই রীতিমত তালিকা দিয়ে রাজ্যের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে শিল্পমহলের কাছে এই খতিয়ান যথেষ্ট ছিল না। অবধারিতভাবে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের জমিনীতি নিয়ে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন মাহিন্দা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পবন গোয়েঙ্কা।
শিল্পের জন্য রাজ্যের জমিনীতি ঠিক কী? জবাবে নতুন কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী।
জোর করে কৃষকের থেকে জমি নেওয়ায় বিশ্বাসী নয় রাজ্য সরকার। এটাই আমাদের নীতি। শিল্পের জন্য জমি কিনতে হবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকেই।
শিল্পবান্ধব পরিবেশ বা EASE TO BUSINESS ইস্যুতে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে প্রথম দশে জায়গা পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। সিন্ডিকেট রাজ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের শিল্প বান্ধব পরিবেশে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে। দেশের বহু রাজ্যেই শিল্পের জন্য জমি পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ। কিন্তু এ রাজ্যে সরকারের জমি নীতি নিয়ে শিল্পমহলে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বণিকসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরেও সেই ধোঁয়াশা কাটল না বলেই মত শিল্পমহলের।