Mamata called C V Ananda Bose: নবনিযুক্ত রাজ্যপালকে শুভেচ্ছা মমতার, কথা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে!
রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগের পর জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রথম সাক্ষাৎকার সি ভি আনন্দ বোস বললেন, 'আমি কোনও সংঘাত চাই না। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করব। মনে হয় না কোনও সংঘাত হবে'
জ্যোতির্ময় কর্মকার: পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেরালার বাসিন্দা ও প্রাক্তন আমলা ডা সি ভি আনন্দ বোসই হচ্ছেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল। প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে জল্পনা রয়েইছে। তার মধ্য়েই নতুন রাজ্যপালকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক। শুক্রবার সন্ধেয় সি ভি আনন্দ বোসকে ফোন করেন মমতা। তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি সি ভি আনন্দ বোসকে ফুলের তোড়াও পাঠান।
আরও পড়ুন-পদবির জায়গায় 'কুত্তা', জয়েন্ট বিডিওকে ঘিরে টানা ঘেউ ঘেউ যুবকের
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাজ্যপালকে শপথ গ্রহণের জন্য দুটি দিনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একটি দিন হল ২১ নভেম্বর এবং দ্বিতীয়টি হল নভেম্বরের ২৩ তারিখ। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নতুন রাজ্যপাল তাঁর সময় সুযোগ মতো রাজভবনে এসে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকার যে সবরকম সহযোগিতা করবে তা মুখ্যমন্ত্রী গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গতকাল সি বি আনন্দ বোস জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর গতাকাল রাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগের পর জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রথম সাক্ষাৎকার সি ভি আনন্দ বোস বললেন, 'আমি কোনও সংঘাত চাই না। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করব। মনে হয় না কোনও সংঘাত হবে'। উল্লেখ্য, বাংলার রাজ্যপাল তখন জগদীপ ধনখড়। রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর যখন এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়, তখন রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনখড়। এ রাজ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। অবশেষে স্থায়ী রাজ্যপাল পেল বাংলা।
সি বি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, 'কলকাতায় ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। শ্য়ামবাজার, রাসবিহারী ও চৌরঙ্গীতে কাজ করেছি। আমার বাবা নেতাজির অনুগামী ছিলেন। সেকারণেই নামের সঙ্গে বোস ব্যবহার করি'। পরবর্তীকালে কীভাবে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ট হয়ে উঠলেন? সোজাসাপ্টা জবাব, 'আমি রাজনীতিবিদ নই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার পেশাগত সম্পর্ক।