পঞ্চায়েত ক্ষমতা হ্রাস, নজিরবিহীন নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যের সমস্ত বিডিওদের সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ টাউন হলে বিডিওদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই নির্দেশ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর অনাস্থার ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের ফলে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশও।
রাজ্যের সমস্ত বিডিওদের সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ টাউন হলে বিডিওদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই নির্দেশ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর অনাস্থার ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের ফলে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশও।
আজকের সভায় সব বিডিওদের ফোন নম্বর এবং ইমেল আইডিও জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের শতাধিক বিডিও সংশ্লিষ্ট সমস্যার কথা এসডিও, জেলাশাসক বা তাঁদের ঊর্ধ্বতন আমলাদের না জানিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানালে প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলেই মনে করছে আমলারা। এমনকী, সারা রাজ্যে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে বা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারসাম্য থাকবে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব করতে দেখা গিয়েছে। জেলা পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে জেলাশাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিরোধী জেলা পরিষদের সভাপরিষদের সভাপতিদের। মুখ্যমন্ত্রীর আজকের নির্দেশ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর সরকারের অনাস্থারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।