কন্ডাক্টর খুন , কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বন্দ্ব

হাওড়ায় এক বাস কন্ডাক্টরের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গতকাল রাতে মধ্য হাওড়ার কালীবাবুর বাজারের কাছে খুন হন এলাকার বাসিন্দা সুজয় রায়চৌধুরী। মৃত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। আজ সুজয় রায়চৌধুরীর বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও।

Updated By: Sep 28, 2011, 06:52 PM IST

হাওড়ায় এক বাস কন্ডাক্টরের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। গতকাল রাতে মধ্য হাওড়ার কালীবাবুর বাজারের কাছে খুন হন এলাকার বাসিন্দা সুজয় রায়চৌধুরী। মৃত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। আজ সুজয় রায়চৌধুরীর বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও। দলীয় কর্মীর মৃত্যু হওয়ায়, রাজ্যে তাদের বড় শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি।প্রদীপ বাবুর অভিযোগ মূলত এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে।
এলাকার বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও অরূপবাবু তাঁর নৈতিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। গতকাল রাতে, দুষ্কৃতীরা সুজয় রায়চৌধুরীকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিস এই ঘটনায় দোষীদের নাম জানতে পারলেও তাদের
এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিসের এই ভূমিকায় যথেচ্ছ চটেছেন প্রদীপ বাবু। তাঁর মতে মন্ত্রী অরূপ রায়, একটু উদ্যোগ নিলেই নিহত কংগ্রেস কর্মীর খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হতো।এই ঘটনার জেরে এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়েও অরুপবাবুর দিকেই আঙুল তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস বড় শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলীর কর্মীদের ওপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগ করে আসছে। প্রদীপবাবুরা এই বিষয়ে দিল্লিতেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নালিশ করে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য কংগ্রেসের এ সমস্ত অভিযোগে তেমন পাত্তা দেয়নি। সুজয় রায়চৌধুরী খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আজ সকালে পথ অবরোধ করেন। পুরনো কোনও বিবাদের জেরে এই খুন বলে পুলিসের অনুমান। যদিও সুজয় বাবুর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ নেই।

.