পামেলাকে ফাঁসাতেই চক্রান্ত? যুব নেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকেই উঠে এল খবর
জানা যাচ্ছে, পামেলা, প্রবীরদের মতো যুব নেতারা নির্বাচনের টিকিট চাইছিলেন। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেন তাঁরা। এই সময়েই রাকেশ ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা পামেলা এবং প্রবীরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার আদালত চত্বরে কার্যত জোর গলাতে বিজেপির এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন পামেলা। গতকালই পামেলা এবং তার বন্ধু প্রবীরকে কোকেন-সহ গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানেই কৈলাস ঘনিষ্ট বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-এর কথা তোলেন পামেলা। কিন্তু কেন এই অভিযোগ। কোথা থেকেই বা যোগসূত্র তৈরি হল রাকেশ এবং পামেলার?
জানা যাচ্ছে, পামেলা, প্রবীরদের মতো যুব নেতারা নির্বাচনের টিকিট চাইছিলেন। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করেন তাঁরা। এই সময়েই রাকেশ ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা পামেলা এবং প্রবীরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
আরও পড়ুন: 'কৈলাস ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং-ই ফাঁসিয়েছে', এজলাসে CID তদন্তের দাবি পামেলার
গতকাল এক নেতার সঙ্গে পামেলাদের দেখা করাতে নিয়ে যায় রাকেশ ঘনিষ্ট ওই যুবক। গাড়িতে ছিলেন পামেলা, প্রবীর, ওই যুবক এবং সোমনাথ নামে এক নিরাপত্তারক্ষী। খবর, পামেলা গাড়ির সামনের সিটে বসেছিলেন। গাড়ির পিছনে প্রবীর এবং সোমনাথে মাঝে ছিলেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকার কোকেন-সহ গ্রেফতার BJP যুব নেত্রী, কে এই পামেলা গোস্বামী?
আরও জানা গিয়েছে, নিউআলিপুরে সবাই একবার গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। তখনও গাড়িতেই বসেছিলেন যুবক। সেখানেই নাকি তিনি জামা বদল করেন। এরপর গাড়িতেই দুটো প্যাকেট ফেলে চলে যান, আর এই গোটা ঘটনা রাকেশের নির্দেশেই হয়েছে বলে দাবি পামেলাদের তরফের। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই কাজ বলছেন পামেলা-প্রবীরের ঘনিষ্ঠ সূত্র। বিজেপির লিগাল সেলের তরফ থেকে যে আইনজীবী দাঁড়িয়েছেন তাঁরা ঘটনাটিকে চক্রান্ত এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। এখনও স্পষ্ট নয় আসল কারণ। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পামেলাসহ ধৃত মোট তিনজনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।