রাজ্যে এক দিনে করোনা আক্রান্ত ৪০০, দেশে ১০ হাজার ছুঁইছুঁই
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় ৬ হাজার ৬৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৫৭।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশো পেরলো, আর দেশে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই।
তা হলে কি শুধু পরিযায়ীরাই এত সংক্রমণের জন্য দায়ী? স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রের বক্তব্য, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো করোনা কবলিত রাজ্যগুলি থেকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে শ্রমিকেরা ঘরে ফেরায় সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে সন্দেহ নেই।
মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগের। ওই রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৪৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে। এরপরই আছে গুজরাত। গুজরাতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৯০।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অন্য কথা। তাদের মতে, ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও বিস্ফোরণ ঘটেনি, অর্থাত্, শতাংশের নিরিখে ওতটাও ব্যাপক হারে বাড়েনি সংক্রমণ। এই অন্তত আশার কথা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় ৬ হাজার ৬৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৫৭।
তবে শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়ানোর পরে একটাই প্রশ্ন আরও ব্যাপক আকার নিয়েছে। পরিযায়ীরা ঘরে ফেরার ফলেই ব্যাপক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা? এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব? অন্যদিকে, শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের।
আরও পড়ুন: 'বাবু মুরগির দাম বেড়েছে, কমেছে মাছের!' ছুটির দিনে খালি মাংসের দোকান, মুত্স্যমুখী বাঙালি
আসানসোলে আবার বহিরাগত পরিযায়ীরা যাতে গ্রামের স্কুলের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে না থাকে, তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এরকম দাবি উঠে আসছে একাধিক জায়গা থেকেই। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই সমস্যাও সামলাতে হচ্ছে।