'মাস্ক-গ্লাভস না পেলে রান্না করব না', কর্মী বিক্ষোভে দুপুরের ভাত বিকেলে খেলেন রোগীরা!

দ্রুত মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দিলেন হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিরা।

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Mar 27, 2020, 04:33 PM IST
'মাস্ক-গ্লাভস না পেলে রান্না করব না', কর্মী বিক্ষোভে দুপুরের ভাত বিকেলে খেলেন রোগীরা!

নিজস্ব প্রতিবেদন : "মাস্ক চাই। গ্লাভস চাই। স্যানিটাইজার চাই। নইলে রান্না করব না।" এই দাবিতেই শুক্রবার রান্না বন্ধ করে দিলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কিচেন কর্মীরা। যার জেরে হুলুস্থূল পড়ে গেল হাসপাতালে। শেষমেশ মাস্ক আর গ্লাভসের আশ্বাস পাওয়ার পরই উনুনে ভাতের হাঁড়ি চাপল। ভাত খেতে দুপুর গড়িয়ে গেল হাসপাতালের রোগীদের!

দুদিন আগেই মাস্ক, স্যানিটাইজার আর পোশাকের দাবিতে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের নার্সরা। এবার মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজারের দাবি ঢুকে পড়ল হাসপাতালের কিচেনে। শুক্রবার সকালে এমনই দাবি জানিয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কিচেনের কর্মীদের একাংশ রান্না বন্ধ করে দিলেন। আর তাতেই হইচই পড়ে গেল। রান্না না হলে রোগীরা কী খাবেন? দুশ্চিন্তায় ততক্ষণে রোগীর পরিজনদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে।

শেষে আসরে নামল কর্তৃপক্ষ। দ্রুত মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দিলেন হাসপাতালের কর্তাব্যক্তিরা। এদিকে ততক্ষণে বেলা অনেক গড়িয়ে গিয়েছে। দেরিতে শুরু হল রান্না। যেখানে সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রোগীদের ভাত দিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে এদিন খাবার পৌঁছতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল।

এই প্রসঙ্গে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ শুদ্ধোদন বটব্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, "সমস্যা ছিল। কথা বলেছি। তাঁদের মাস্ক, গ্লাভস সহ বাকি সব জিনিস-ই দেওয়া হবে। কাজ হচ্ছে। কোনও অসুবিধা নেই।"

আরও পড়ুন, 

.