দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস; মৃত ৯, কলকাতা-সহ ৭ বিমানবন্দরে জারি কড়া সতর্কতা

করোনা ভাইরাসের আক্রমণে চিনে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আক্রান্ত ৯০০। মারাত্মক এই ভাইরাস পৌছে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলও। এরকম এক অবস্থায় ভারতের ৭ বিমানবন্দরে জারি হল সতর্কতা।

Reported By: সুকান্ত মুখোপাধ্যায় | Updated By: Jan 22, 2020, 12:46 PM IST
দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস; মৃত ৯,  কলকাতা-সহ ৭ বিমানবন্দরে জারি কড়া সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাসের আক্রমণে চিনে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আক্রান্ত ৯০০। মারাত্মক এই ভাইরাস পৌছে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেলও। এরকম এক অবস্থায় ভারতের ৭ বিমানবন্দরে জারি হল সতর্কতা।

আরও পড়ুন-স্পোর্টসের আগের দিন কার্যত বেদখল স্কুল, মাঠ ঘিরে চলছে বিয়েবাড়ির আয়োজন

ভারতের যে ৭ বিমানবন্দরকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে সেগুলি হল কলকাতা, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি, মুম্বই ও কোচিন।  ওইসব বিমানবন্দরে চিন গামী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি,  চিনে যে কোনো শহরের বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠার আগে একবার ভারতের মেডিক্যাল চেকপয়েন্টে প্যাসেঞ্জাকে চেক করা হচ্ছে। সেখানে মেডিক্যাল চেক ‘ওকে’ হলে একটা কাগজ দেওয়া হচ্ছে। একটা কপি সেখানকার মেডিক্যাল ক্যাম্পে থাকছে আর দ্বিতীয় কপি দেওয়া হচ্ছে যাত্রীকে।  তিনি ভারতে ঢোকার পর বিমান থেকে নেমেই ফের মেডিক্যাল চেকআপ করা হচ্ছে।  তাতে ফিট থাকলে তবে ইমিগ্রেশন দেওয়া হচ্ছে বা বিমানবন্দরের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।  উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল।

কিভাবে চেকআপ?

বিমানবন্দর সূত্রে খবর,   ইনফ্রারেড থার্মাল স্ক্যানার ক্যামেরার  এর মাধ্যমে যাত্রীদের স্বাস্থ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাস অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। অর্থাৎ প্রথম লক্ষণ সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট।  সেখান থেকেই সারা শরীরে ছড়াচ্ছে। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাস। ফলে জোর দেওয়া হচ্ছে মুখ ঢেকে থাকা-সহ অন্যান্য ব্যবস্থার ওপরে।

আরও পড়ুন-মঙ্গলবার রাতে পার্ক সার্কাসে মেধা পাটকার! সুর চড়ালেন সিএএ, এনআরসির বিরুদ্ধে

জোর দেওয়া হচ্ছে -

গত ৪০ দিনের মধ্যে যারা চিনে গিয়েছিলেন তাদের ওপরে নজরা রাখার চেষ্টা চলছে।

বিশেষ করে চিনে করোনা প্রভাবিত ইউনান এ যাওয়া যাত্রী বা বাসিন্দাদের গতিবিধি দেখা হচ্ছে।

মার্কেট, পশু খামার,  পশুর মাংস যেখানে বিক্রি হয়েছে সেখান থেকেই এই ভাইরাস বেশি ছড়িয়েছে।

ইউনান ছাড়াও বেজিং,  হংকং শহরের বিমানবন্দরের যাত্রীদের  ওপরেও নজরদারি রাখা হচ্ছে।

.