রাজীবের আগাম জামিনের শুনানির এক্তিয়ার নেই, জানাল বারাসত আদালত

রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়ে দিল বারাসতের জেলা দায়রা আদালত।        

Updated By: Sep 17, 2019, 10:00 PM IST
রাজীবের আগাম জামিনের শুনানির এক্তিয়ার নেই, জানাল বারাসত আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজীবের আগাম জামিনের আবেদনে কোনও রায় দিল না বারাসত আদালত। মামলা ফেরত পাঠালেন বিচারক। মামলা ফেরত পাঠানো হল আলিপুর আদালতে। বিচারক জানিয়ে দিলেন, রাজীবের আবেদন শোনার এক্তিয়ার নেই আদালতের। 

কিন্তু, কেন এই জট? সমস্যা ঠিক কোথায়?

একপক্ষ গিয়েছিল আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে। আরেকপক্ষ চাইছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। কিন্তু, রাজীব কুমার ও সিবিআই দুপক্ষকেই বিচারক জানালেন মামলা শোনার এক্তিয়ারই তাঁর নেই। 

কেন এমন হল? তারজন্য ফিরতে হবে দু হাজার চোদ্দোয়।সুব্রত চট্টোপাধ্যায় নামে হাইকোর্টের এক আইনজীবী মামলা করেন। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৪-র ৯মে সুপ্রিম কোর্ট সারদা, রোজভ্যালি সহ সারা দেশের সব চিটফান্ড মামলার তদন্ত সিবিআই-র হাতে তুলে দেয়। ওই বছরই সিবিআই সারদা রিয়েলিটি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করে। সারদা রিয়েলিটির হেড অফিস দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। ফলে এই মামলার তদন্ত চলাকালীন শুনানির দায়িত্ব ছিল আলিপুর সিজেএম কোর্টে। একজন অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুনানি চালাতেন। ঠিক সেসময়ই সারদা মামলায় অভিযুক্ত সাংসদ কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করে সিট। সিবিআই গ্রেফতার করে বিধায়ক মদন মিত্রকে।তার শুনানিও চলছিল আলিপুর আদালতে। মোড় বদলায় ২০১৭ সালে।

২০১৭-র ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশ জারি করে , বলা হয় গোটা দেশে সাসংদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তার বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গড়তে হবে। ২০১৭- তে মদন মিত্র  বিধায়ক না থাকলেও রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন কুণাল। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে ও কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে বারাসতে সাংসদ-বিধায়কদের  জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। সেখানেই সাংসদ ও বিধায়ক বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের বিচার হবে। তারপরই, সিবিআইয়ের সারদা রিয়েলিটির বিরুদ্ধে দায়ের করা আরসি ফোর মামলাটি বারসতের এমপি-এমএলএ কোর্টে স্থানান্তিরত হয়।কারণ কুণাল ঘোষ সেসময় রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। কিন্তু, কুণাল এখন সাংসদ না থাকলেও, আরসি ফোর মামলা আর বারাসতের বিশেষ আদালত থেকে আলিপুরে ফেরত যায়নি। ঠিক এই জায়গাতেই তৈরি হয় জটিলতা। 

সাংসদ -বিধায়কদের বিশেষ  আদালতের বিচারক রাজীবকুমারের আইনজীবীকেও বলেন মামলা শোনার এক্তিয়ার তাঁর নেই। একইকথা জানান সিবিআইয়ের আইনজীবীকেও।

আরও পড়ুন- মোদী - মমতা বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা

.