মোদী - মমতা বৈঠক নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা
বুধবারের মোদী - মমতা বৈঠক নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। যে মমতা মোদীর ডাকা বৈঠক সোচ্চারে বয়কট করেন তিনি আবেদন করেই কী করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পেলেন তা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে দলের অন্দরেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার দিল্লিতে মোদী - মমতা বৈঠক নিয়ে জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ। রাজীব কুমারের গ্রেফতারির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই মমতার দিল্লি সফরে 'দিদিভাই - মোদীভাই সেটিং'-এর অভিযোগ তুলেছে বাম ও কংগ্রেস। এতেই এরাজ্যে অস্বস্তিতে পড়েছে উদীয়মান বিজেপি। সেকথা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাল তারা।
রাজ্যের আর্থিক দাবি জানাতে মঙ্গলবার দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনুদান কমানো, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে দুজনের কথা হবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাক্রম দেখে তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। এমনকী শাসকদল বিজেপিরও দাবি, সারদাতদন্তে রাজীব কুমারকে গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচাতে দিল্লি গিয়েছেন তিনি।
বুধবারের মোদী - মমতা বৈঠক নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। যে মমতা মোদীর ডাকা বৈঠক সোচ্চারে বয়কট করেন তিনি আবেদন করেই কী করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পেলেন তা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে দলের অন্দরেই। এতে তৃণমূল বিরোধিতায় রাজ্যবাসীর কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা কমবে বলেও মনে করছেন তাঁরা। নিজেদের ক্ষোভের কথা এরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্যের নেতারা।
রাজীবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি কি নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত? ঝুলেই CBI-এর আবেদনের শুনানি
বিজেপি নেতাদের দাবি, আর্থিক দাবি আসলে অছিলা। সারদা - নারদা নিয়ে কথা বলতে দিল্লি গিয়েছেন মমতা। এই নিয়ে বিজেপিকে সমঝোতার বার্তা দিতে চলেছেন তিনি। সেই আশঙ্কার কথা দলের সভাপতি অমিত শাহ ও কার্যকারী সভাপতি জেপি নড্ডাকে জানানো হয়েছে বলে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে।