ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করে রিপোর্টে কী লিখল সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পালাবদল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল। তারপর একের পর এক নির্বাচন। ভোটব্যাঙ্কের হিসাবে ক্রমশই কোণঠাসা হয়েছে রাজ্যের রেকর্ড সময় শাসনে থাকা বামেরা। প্রথমে ধীরে চলো নীতি ,হনিমুন পিরিয়ডের তত্ত্ব থাকলেও পরে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নেতাদের মাঠে নামার ডাক দিয়েছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু ততদিনে পায়ের তলার জমি অনেকটাই শক্ত করে নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয় অস্তিত্বের সংকটে ফেলেছে বামেদের। দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের চরিত্র বিশ্লেষণের কাজ।
ওয়েব ডেস্ক: ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পালাবদল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এল তৃণমূল। তারপর একের পর এক নির্বাচন। ভোটব্যাঙ্কের হিসাবে ক্রমশই কোণঠাসা হয়েছে রাজ্যের রেকর্ড সময় শাসনে থাকা বামেরা। প্রথমে ধীরে চলো নীতি ,হনিমুন পিরিয়ডের তত্ত্ব থাকলেও পরে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নেতাদের মাঠে নামার ডাক দিয়েছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু ততদিনে পায়ের তলার জমি অনেকটাই শক্ত করে নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয় অস্তিত্বের সংকটে ফেলেছে বামেদের। দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে শত্রুপক্ষের চরিত্র বিশ্লেষণের কাজ।
আরও পড়ুন-সিপিএম বা কংগ্রেস নয়, মমতার চিন্তা এখন এই একটাই! কী সেটা!
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য সিপিএমের সাংগঠনিক প্লেনাম। সেন্ট্রাল কমিটির কাছে সংগঠনে ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করে রিপোর্টও পাঠিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব
কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, তৃণমূল অত্যন্ত ফ্যাসিস্ট দল। রাজনৈতির হিংসার পাশাপাশি তাদের আগ্রাসী ভূমিকা ভাঙন ধরিয়েছে বাম শিবিরে। রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করার পথেই সচেষ্ট তৃণমূল।
বামেদেরও একাংশ তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পেছন থেকে সাহায্য করেছে
ক্ষমতার পালা বদলের পর থেকেই দলের অনেক নেতা,কর্মীই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে
রিপোর্ট অনুযায়ী দাওয়াই
পরিস্থিতি বিচার করে বেশকিছু সুপারিশও করা হয়েছে বঙ্গ ব্রিগেডের তরফে
দলের ভিত মজবুত করতে প্রকাশ্যে না আসা বাম কর্মীদের বেশি করে কাজে লাগাতে হবে
নিজেদের প্রচার ও সাংগঠনিক ক্ষমতার ব্যবহারে গণমাধ্যমকে হাতিয়ার করার কৌশল রপ্ত করতে হবে
প্রচারের কাজে নিজস্ব সংবাদমাধ্যম থাকা জরুরি
আমজনতার সমস্যা নিয়ে একটানা জনমুখী প্রচার,জনসংযোগ জোরদার করতে হবে
মহিলা,ছাত্র ,যুবদের একজায়গায় এনে আন্দোলনে সংগঠিত করতে হবে
শ্রমিকসংগঠনগুলিকে আরও মজবুত করতে হবে
আরও পড়ুন- আলিমুদ্দিনে রাজ্য নেতাদের রিপোর্ট দিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিএম
কিন্তু শত্রুশিবিরের চরিত্র বিশ্লেষণে এত দেরি হল কেন? প্রতিপক্ষের দূর্বলতা বা শক্তি না জানলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই তো কঠিন? তবে কী লক্ষ্য,নিশানা,কৌশল ছাড়াই এতদিন ছায়া যুদ্ধ চালিয়েছে বাম শক্তি? প্রশ্ন তুলছে দলেরই একাংশ। খাতায় কলমে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবে কতটা কার্যকরী হবে তানিয়েও সংশয় রয়েছে দলের অন্দরে।