মার্ক্স-লেনিন 'বাদ', বিজেপিকে রুখতে রাজ্যে 'সহি হিন্দুত্ব' প্রচার করবে সিপিএম

বিজেপির হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে 'সহি হিন্দুত্ব' তুলে ধরা হবে জনমানসে। 

Reported By: মৌমিতা চক্রবর্তী | Edited By: শুভঙ্কর মিত্র | Updated By: Dec 13, 2019, 11:39 PM IST
মার্ক্স-লেনিন 'বাদ', বিজেপিকে রুখতে রাজ্যে 'সহি হিন্দুত্ব' প্রচার করবে সিপিএম

মৌমিতা চক্রবর্তী: লেনিন, মার্ক্স ছেড়ে একেবারে দেশীয় মনীষী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির মোকাবিলায় সিপিএমেও বদলের হাওয়া। বিজেপির হিন্দুত্বকে ভুল প্রমাণ করতে চৈতন্য, রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের হিন্দুত্বেই ভরসা আলিমুদ্দিনের। দোসর কংগ্রেস। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রচারে নামছেন সোমেন-সূর্যকান্তরা। 

জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ‘সংবিধান বাঁচাও - ভারত বাঁচাও’ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। দলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হবে ও বি জে পি যেভাবে  হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তিকে ধ্বংস করছে তার পাল্টা শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ‘ এর আদর্শ, শ্রী চৈতন্যদেব এবং স্বামী বিবেকান্দের বাণী প্রচার করা হবে। মহাত্মা গান্ধী, পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, ভীম রাও আম্বেদকরের ‘ভারত-ধারণা‘ প্রচার করে অমিত শাহদের অসত্য ইতিহাস তুলে ধরার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে। 

কংগ্রেসের এহেন কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সিপিএমকে। 'নরম হিন্দুত্ব'-এর ব্যাপার-স্যাপার দেখে একা সিদ্ধান্ত নেননি আলিমুদ্দিনের নেতারা। বসেছিলেন ফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, 'আইডিয়া' নেহাত মন্দ নয়। বিজেপির হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে 'সহি হিন্দুত্ব' তুলে ধরা হবে জনমানসে। ফলে সিপিএম নেতাদেরও দেখা যাবে কর্মসূচি। রামকৃষ্ণ দেবের 'যত মত তত পথ' থেকে বিবেকানন্দের 'ভারত দর্শন' প্রচার করবেন সিপিএম নেতারা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও মহাত্মা গান্ধীরা তো থাকবেনই। 

এরইসঙ্গে রাজ্যজুড়ে প্রচারের কৌশলও নিয়েছে সিপিএম। তৈরি হয়েছে লিফলেট। তা বিলি করা হবে সাধারণ মানুষকে। ওই লিফলেটে তুলে ধরা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করিয়ে কী করতে চাইছে বিজেপি? সামাজিক মেরুকরণ করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলাই মোদী-শাহ সরকারের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে গিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য রাজনৈতিক ক্লাসের আয়োজন থাকছে। প্রতি সপ্তাহেই চলছে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ। এর পাশাপাশি কাজে লাগানো হবে গণসংগঠনগুলিকে। গান, নাটক, লোকগীতির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হবে এনআরসি ও সিএবি-র নেতিবাচক দিকগুলি।        

আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পরপর ৩ দিন রাস্তায় হাঁটবেন মমতা 

.