Cyclone Mocha: মোকা মোকাবিলায় প্রস্তুত লালবাজার, শনিবার থেকেই কাজ শুরু করছে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার
Cyclone Mocha:মৌসম ভবনের সতর্কবার্তায় যে ৪ রাজ্য রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তামিলনাডু ও অন্ধ্রপ্রদেশ। মোকার প্রভাবে ওই দুই রাজ্যে বজ্রবিদ্যুত্-সহ প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঝড়ের দাপট বাংলাদেশের দিকে ঘুরে য়েতে পারে। তবে তার আগে ওড়িশার উপকূলেও তা বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি করে যেতে পারে
রণয় তেওয়ারি: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ ঘূর্নিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় কোন অভিমুখে যাবে? নিম্নচাপ ঘনীভূত হলেই আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট ভাবে জানাবে। কিন্তু তার আগেই দেশের পূর্ব উপকূলের ৪ রাজ্যকে সতর্ক করেছে দিল্লির মৌসম ভবন। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। ফলে তৈরি হচ্ছে লালবাজারও। আমফানের সময় মারাত্মক অবস্থা হয়েছিল কলকাতার। তবে দক্ষতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছিল কলকাতা পুরসভা। এবার ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় তৈরি লালবাজার।
আরও পড়ুন-বঙ্গোপসাগরে চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোকা, পূর্ব উপকূলের ৪ রাজ্যে সতর্কতা মৌসম ভবনের
কীভাবে তৈরি কলকাতা পুলিস? লালবাজার সূত্রে খবর, ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় লালবাজারে তৈরি হয়েছে ইউনিফায়েড কমান্ড সেন্টার। আগামিকাল অর্থাত্ শনিবার থেকে এটি কাজ করবে। এর নিয়ন্ত্রণে থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল, এনডিআরএফ, কেএমসি, সিইএসসি, কলকাতা পুরসভা ও পিডাব্লিউ কর্মীরা। শহরের প্রতিটি থানা এলাকায় গাছ কাটার মেশিন-সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার যাবতীয় সরঞ্জাম তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতার সবকটি ডিভিশনে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস, ৭ মে রবিবার সেই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার ৮ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর অভিমুখে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। মঙ্গলবার ৯ই মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে। নিম্নচাপে পরিণত হলে এর গতিপথ সুস্পষ্ট হবে। তবে ঘূর্ণিঝড় কোন অভিমুখে যাবে তা নিয়ে এখনও সুস্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছে আগামী ৭ মে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। পরের দিন ঝড়ের গতি বেড়ে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। আগামী ১০ মে ঝড়ের গতি বেড়ে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
মৌসম ভবনের সতর্কবার্তায় যে ৪ রাজ্য রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তামিলনাডু ও অন্ধ্রপ্রদেশ। মোকার প্রভাবে ওই দুই রাজ্যে বজ্রবিদ্যুত্-সহ প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ঝড়ের দাপট বাংলাদেশের দিকে ঘুরে য়েতে পারে। তবে তার আগে ওড়িশার উপকূলেও তা বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি করে যেতে পারে। এর জন্য সতর্ক করা হয়েছে ওড়িশা সরকারকে। ওড়িশার পাশাপাশি মৌসম ভবনের সতর্কতার বৃত্তে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। মত্সজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে আাগামী ৮-১১ মে পর্যন্ত। রাজ্যের ঝড়প্রবণ জেলাগুলিতে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মোকার প্রভাবে পর্যটকদের জন্য সতর্কতা জারি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্র ও তার তীরবর্তী অঞ্চলে সমস্ত বিনোদনমূলক কার্যক্রম বন্ধ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা এবং পর্যটকদের ভেসেল না চালানোর পরামর্শ আবহাওয়া দফতরের।