নিজস্ব প্রতিবেদন: ল্যান্ডফলের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি রাজ্যের দুটি জায়গা থেকে হালকা টর্নেডোরও খবর পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে সন্ধেয় নবান্ন থেকে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- নজিরবিহীন ভাবে নবান্নে রাজ্যপাল, পৌঁছলেন কন্ট্রোল রুমে


মঙ্গলবার বিকেলে হালিশহর ও চুঁচুড়ায় খুব অল্প সময়ের জন্য টর্নেডোর দেখা মিলেছে। এতে হালিশহরে ৪০টি ও চুঁচুড়ায় কমপক্ষে ৪৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪ জন। পাশাপাশি পাণ্ডুয়ায় তড়িতাহত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও মমতা(Mamata Banerjee) জানান। 


আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ঝড়ের গতি কিছুটা কমেছে। কাল বারোটার মধ্যে ল্যান্ডফল হতে পারে। এই সময়ে একটা হালকা  টর্নেডো তৈরি হতে পারে। মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পকেটে পকেটে টর্নোডো হচ্ছে। এতে ক্ষতিও হচ্ছে। সবাইকে বলব বাড়িতেই থাকুন। সতর্ক থাকুন।


আরও পড়ুন-Live: Yaas আসার আগেই ঘুর্ণিঝড় চুঁচুড়ায়! পাণ্ডুয়ায় বাজ পড়ে মৃত ২


রাজ্যে ঝড় মোকাবিলায় কাজ করছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আজ সেখানে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ইয়াস-এর প্রভাব নিয়ে মমতা বলেন, এর সবচেয়ে বেশি পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নীচু এলাকাগুলি থেকে ১১ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের রাখা হয়েছে রিলিফ সেন্টারে। রাত যত বাড়বে ঝড়ের পরিধিটাও বাড়বে।


মমতা আরও বলেন, বুধবার দুপুরের মধ্যে যেহেতু ল্যান্ডফল হবে তাই সেই সময়ে বাড়ি থেকে না বের হওয়াই ভালো। নিজেদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু ল্যান্ডফলের পরও তার এফেক্ট থাকে। সেটা একটু দেখে নেবেন।  আজ মাঝরাত থেকেই হয়তো ঝড়জল বাড়বে। আবহাওয়াবিদদের কথা মেনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আজ রাতে নবান্নে সবাই আছি। আমাদের ওয়্যাররুম চলবে।