শহরে জোড়া খুন, পাইকপাড়ায় বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রৌঢ় দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ

শহরে ফের জোড়া খুন। পাইকপাড়ার একটি আবাসনের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢ় দম্পতির রক্তাক্ত দেহ।  বাইরের ঘরে মেলে গৃহকর্তা প্রাণগোবিন্দ দাসের রক্তাক্ত দেহ। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ভিতরের ঘরে খাটের উপর মেলে স্ত্রী রেণুকা দাসের দেহ।  তাঁর গলায় ছিল ধারাল অস্ত্রের আঘাত ।  ভেঙে ফেলা হয়েছে  ঘরের আলমারি। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান খুন হয়েছেন এই দম্পতি।  তদন্তে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিস কুকুর। পাইকপাড়ার ইন্দ্রলোক আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি। দুজনেই অধ্যাপনা করতেন। নিহত প্রাণগোবিন্দ দাস অধ্যাপনা করতেন বর্ধমান বিশ্বিদ্যালয়ে। রেণুকা দাস ছিলেন সরোজীনি নাইডু কলেজের অধ্যাপিকা।

Updated By: Jul 16, 2015, 06:41 PM IST
শহরে জোড়া খুন, পাইকপাড়ায় বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রৌঢ় দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ

ব্যুরো: শহরে ফের জোড়া খুন। পাইকপাড়ার একটি আবাসনের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢ় দম্পতির রক্তাক্ত দেহ।  বাইরের ঘরে মেলে গৃহকর্তা প্রাণগোবিন্দ দাসের রক্তাক্ত দেহ। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ভিতরের ঘরে খাটের উপর মেলে স্ত্রী রেণুকা দাসের দেহ।  তাঁর গলায় ছিল ধারাল অস্ত্রের আঘাত ।  ভেঙে ফেলা হয়েছে  ঘরের আলমারি। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান খুন হয়েছেন এই দম্পতি।  তদন্তে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিস কুকুর। পাইকপাড়ার ইন্দ্রলোক আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি। দুজনেই অধ্যাপনা করতেন। নিহত প্রাণগোবিন্দ দাস অধ্যাপনা করতেন বর্ধমান বিশ্বিদ্যালয়ে। রেণুকা দাস ছিলেন সরোজীনি নাইডু কলেজের অধ্যাপিকা।

দীর্ঘদিন আগেই অবসর নিয়েছেন তাঁরা। তাদের মেয়ে থাকেন আমেরিকায় । এলাকায় পরিচিত ছিলেন ওই দম্পতি। গতকালও  তাঁরা বাজারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

পাইকপাড়ার আবাসনে নিহত অধ্যাপক দম্পতির ফ্ল্যাট চারতলায়। রোজকারের মতো আজও ইন্দ্রলোক আবাসনের ওই ফ্ল্যাটে কাজে আসেন আয়া।  ফ্ল্যাটের কাঠের দরজা খোলা দেখতে পান তিনি। । তবে তালা-বন্ধ ছিল কোলাপসিবল গেট। বারবার ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে চলে যান ওই মহিলা। এরপর প্রতিবেশীরাই খবর দেন  পুলিসকে। পুলিস এসে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে দম্পতির দেহ। ফ্ল্যাটে  ঢুকেই ডাইনিং হলের মেঝেতে মেলে প্রাণগোবিন্দ বাবুর রক্তাক্ত দেহ। লুঙ্গিও গেঞ্জি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি। মাথা ও মুখ ভারী কিছুর আঘাতে থ্যাঁতলানো। দ্বিতীয় ঘরে তছনছ করা অবস্থায় ছিল আলমারি। তৃতীয় ঘরের বিছানায় মেলে প্রৌঢ়ার দেহ। খাট থেকে অর্ধেক ঝুলছিল দেহ। গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ। ওই ঘরেই ডাইনিং টেবিলে মিলেছে রক্তমাখা ছুরির দাগ। দেওয়ালেও মিলেছে রক্তমাখা হাতের ছাপ। বেসিনের পাশের তোওয়ালেতেও রক্তের দাগ মিলেছে।

.