মা-বাবা জানতেন ছেলে IAS নয়, আগেও পুলিসি জেরার মুখে পড়েন দেবাঞ্জন

পরিবারের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হলেও প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হন দেবাঞ্জন। পুলিসের সামনে ও সামাজিকভাবে তখনও তিনি IAS অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।   

Updated By: Jun 28, 2021, 09:53 AM IST
মা-বাবা জানতেন ছেলে IAS নয়, আগেও পুলিসি জেরার মুখে পড়েন দেবাঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদন: এটাই প্রথম নয়, এর আগেও পুলিসি জেরার মুখে পড়েন দেবাঞ্জন দেব। গত মার্চ মাসে চাকরির প্রতারণার অভিযোগে বিধাননগরে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় তাঁকে। সেই সময় ছেলের কুকীর্তির কথা প্রথম জানতে পারেন তাঁরা বাবা মা, খবর পুলিস সুত্রে। 

দেবাঞ্জনের অতীত ঘেঁটে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর আগে যখন দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস তখন তাঁর বাবা মা জানতে পারেন ছেলে IAS অফিসার নয়। সে সময় থানায় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে মৌখিকভাবে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ও তার কীর্তিকলাপ প্রকাশ্যে আসেনি। পরিবারের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হলেও প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হন দেবাঞ্জন। পুলিসের সামনে ও সামাজিকভাবে তখনও তিনি IAS অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।   

আরও পড়ুন: Yaas নিয়েও প্রতারণার ফাঁদ পাতে দেবাঞ্জন, তথ্য জেনে চক্ষু ছানাবড়া গোয়েন্দাদের

গতকাল (রবিবার) দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাসি চালানো হয়। বেশ কিছু তথ্য ও নথি মিলেছে বলে খবর। একাধিক সরকারি দফতরের কাগজপত্র,স্ট্যাম্প, ডেবিট কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবুক উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অশোক রায় নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন। তাঁকে মাস মাইনে দিতেন ৬৫ হাজার টাকা। তাঁর মাধ্যমে আরও বেশ কিছুজনকেও নিয়োগ করেন দেবাঞ্জন।

আরও পড়ুন: চারুকলা কেন্দ্রের সদস্যপদ, নবান্নের নামে স্মারক! ভাগ্নে দেবাঞ্জনের ফাঁদে পড়েন মামাও

দেবাঞ্জনের সঙ্গে সরকারি কোনও ব্যক্তি জড়িয়ে আছেন কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রসঙ্গত, ছোটকা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সুস্মিতার সঙ্গে পরিচয়  হয় দেবাঞ্জনের। পুরসভার নামে দেবাঞ্জনের কাছে চাকরি পেয়েছিলেন সুস্মিতা। তিনি এই জালিয়াতি বিষয়ে জানতেন না বলে জানিয়েছেন।

 

.