Debasree Roy Foundation: 'লেজ নাড়লেই মালিককে চিহ্নিত করা যায় না', পোষ্য বিতর্কে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের
বিতর্কের কেন্দ্রে একটি সারমেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'পোষ্যের মালিকানা নির্ধারণের এক্তিয়ার নেই আদালতের'। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করল দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশন (Debasree Roy Foundation)। মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীর বক্তব্য, 'কাউকে দেখে কুকুর লেজ নাড়লেই মালিককে চিহ্নিত করা যায় না'। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
ঘটনার সূত্রপাত্র ১৪ ডিসেম্বরে। সেদিন কলকাতায় গল্ফগ্রীন এলাকা থেকে হারিয়ে যায় ফ্রেঞ্চ ম্যাস্টিক প্রজাতির একটি সারমেয়। নাম, ব্রুনো। ৪ দিন পর আড়াই বছরের পোষ্যের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুকন্যা মিরবাহার নামে এক মহিলা। পরে ফেসবুক দেখে তিনি জানতে পারেন, কুকুরটিকে উদ্ধার করা হয়েছে হাওড়ার পাঁচলায়! দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশনে রয়েছে সে। কারণ মালিকের খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আঁচ হাইকোর্টে, জনস্বার্থ মামলা দায়ের
তাহলে? পোষ্যকে ফিরে না পেরে হাইকোর্টে মামলা করেন সুকন্যা। তখন দেবশ্রী ফাউন্ডেশনের তরফে আদালতকে জানানো হয়, 'ব্রুনোর কোনও যত্ন নেননি তার মালিক। সারমেয়টিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। এমনকী, নামানো হয়নি ডগ-শোতেও! সেক্ষেত্রে মামলকারীই যে মালিক, তার প্রমাণ কোথায়'? যদিও সারমেয়টিকে কিন্তু মামলাকারীর কাছেই ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: BMC Election 2022: সংরক্ষিত ওয়ার্ডে 'নকল' জাতি শংসাপত্র তৃণমূল প্রার্থীর! কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
কেন এই নির্দেশ? জানা গিয়েছে, আদালতে মামলাকারী সুকন্যা মিরবাহারকে দেখে লেজ নেড়েছিল ব্রুনো। যেন 'বন্ধু' খুঁজে পেয়েছে! তা দেখেই পোষ্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশন।