Governor CV Ananda Bose: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা!
'আমাদের কেন টেনে আনছেন'? সিভি আনন্দ বোসকে ৪ পাতার আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন তৃণমূলপন্থী প্রাক্তন উপাচার্যরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আমাদের কেন টেনে আনছেন'? রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার মানহানির মামলা! সিভি আনন্দ বোসকে ৪ পাতার আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন তৃণমূলপন্থী প্রাক্তন উপাচার্যরা।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: 'অস্থায়ী নিয়োগ যথাযথ নয়', দমকলেও এবার চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের...
রাজ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও। কেন? রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে।
শিক্ষক দিবসে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'একজন রাজ্যপাল বসে আসেন এবং সব বদলে দিয়েছেন। হৃদয় বিদারক সব কাজ করছেন। বলেছি, এসব করবেন না। টাকা দেব আমরা আর মধ্যরাতে যাদবপুরের উপাচার্য বদলে গেল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বদলে দিচ্ছেন'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'আর্থিক বাধা তৈরি করবেন। দেখি কী করে বেতন দেন'।
চুপ করে থাকেননি রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, 'উপাচার্যদের কেউ কেউ ছাত্রীদের হেনস্থা করেছে। কেউ দুর্নীতিতে জড়িত। কেউ রাজনীতির খেলা খেলছিল'। রাজ্যপাল বলেন, 'বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হিংসামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ চাই। সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলেছে। তারপর-ই আমি আচার্য হিসেবে উপাচার্য নিয়োগ করেছি'।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, '৪ পাতার চিঠি, আইনজীবীর চিঠি। একসঙ্গে একযোগে, প্রথমবার ভারতবর্ষে আমরা আচার্যের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করছি। আইনি নোটিশ, ১৫ দিনের মধ্যে, প্রকাশ্যে ক্ষমা চান আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হন'। বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাকে ধ্বংস করছে। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি। ওটা সরকারের ব্যাপার। সরকার আর উনি ঠিক করবেন। আমাদের কেন টেনে আনছেন?'
এদিকে উপাচার্য নিয়োগ বিল মামলায় রাজ্যপালের অফিসের কাছে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Leaps and Bounds: 'কবে চালু হয় এই সংস্থা'? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান তলব হাইকোর্টের
২০২২ সালে জুন মাস উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। এরপর রীতিমাফিক সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওই বছরের ২৫ জুন। কিন্তু বিলে স্বাক্ষর করা তো দুরঅস্ত, রাজ্যপাল কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন সায়ন মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি।