টানা ৮ দিনের লড়াই-এ হার মানল ঋষভ, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে আহত দিব্যাংশু
৮ দিনের চিকিত্সায় দিব্যাংশু এখন অনেকটাই সংকটমুক্ত। এমনটাই দাবি ডাক্তারদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঋষভের মৃত্যু হলেও, এসএসকেএম হাসপাতালে মরণপন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দিব্যাংশু ভগত। শুক্রবার সে মায়ের ডাকে সাড়াও দিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ৮ দিনের চিকিত্সায় দিব্যাংশু এখন অনেকটাই সংকটমুক্ত। এমনটাই দাবি ডাক্তারদের। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, অচিরেই খুদে পড়ুয়াকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হবে। আপাতত তাকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানোই এসএসকেএমের চিকিত্সকদের প্রধান লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: লড়াই শেষ, SSKM-এ মৃত্যু হল পোলবা দুর্ঘটনায় আহত পড়ুয়া ঋষভের
১৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির পোলবায় স্কুলে যাওয়ার সময় নয়ানজুলিতে পড়ে যায় তাদের পুলকার। বেশকিছুক্ষণ সেখানেই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকে ঋষভ এবং দিব্যাংশু। তাতেই তাদের ফুসফুসে ঢুকে যায় নয়ানজুলির নোংরা কাদাজল। দ্রুত দুজনকে গ্রিন করিডর করে কলকাতায় আনা হয়। এরপরই শুরু হয় মরণপণ লড়াই। দিব্যাংশু সামলে উঠলেও, পারল না ঋষভ। শনিবার ভোর ৫টায় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
খুদের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া বিভিন্ন মহলে, ঋষভের মৃত্যুর পর এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি বলেন, "বলার ভাষা হারিয়েছি। ঋষব আমার নাতির বয়সি। ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বলতে বাধ্য হচ্ছি রুথলেস, নেগলিজেন্স চালকদের জন্যই এই মৃত্যু।" তিনি আরও বলেন "কাকে শেখাব। কেউ কোন শিক্ষা নেয় না। বাস ড্রাইভার, ট্রাক ড্রাইভার এদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনা উচিত। সহজে ড্রাইভার লাইসেন্স দেওয়াই উচিত নয়।" স্পিড ব্রেকারের পাশাপাশি পুলকারে এপ সিস্টেম আনা দরকার বলেও তিনি মনে করছেন।"