নিজস্ব প্রতিবেদন: ভিন রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পাল্টা দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, বিহার থেকে বুদ্ধিজীবী এনে জেতার চেষ্টা করছেন। পিকে কে? তাঁর সঙ্গে বাংলার কী সম্পর্ক?  বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়,''উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি থেকে লোক আসলে কি পাসপোর্ট-ভিসা লাগবে? আপনারা কি ঘোষণা করে দিলেন এটা পশ্চিম বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছে!''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল, বুধবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের 'বহিরাগত' বলে নিশানা করেছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। এ দিন আবার চন্দ্রিমার মুখে শোনা গেল, বহিরাগতদের এনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। তৃণমূলের বহিরাগত তত্ত্বের পাল্টা দিতে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে টেনে এনেছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ''আমাদের সর্বভারতীয় নেতারা বারবার আসবেন। নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা বাংলার লোকেদের ভরসাই করেন না। ওরা তো বিহার থেকে বুদ্ধিজীবী এনে জেতার চেষ্টা করছে। পিকে কে? তাঁর সঙ্গে বাংলার কী সম্পর্ক? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশে গিয়েছেন, তার বেলায়।''


এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলের নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন,''বহিরাগতরা আসছেন। যে কোনও প্রদেশের হোক না কেন, বাংলার মানুষকে সকলকে স্বাগত জানায়। কিন্তু যদি বহিরাগতরা অদ্ভূত স্বপ্নকে লালচক্ষু দেখিয়ে বাস্তবে করার কথা ভেবে থাকেন, তা মেনে নেবে না।'' দিলীপের পাল্টা বক্তব্য, ওদের শোনার দরকার নেই আমাদের নেতা আমরা শুনব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই তো কেউ শুনছে না। আপনারা দল সামলান, আমরা পশ্চিমবঙ্গ সামলে নেব।


দিলীপবাবু আরও বলেন,''আমাদের সর্বভারতীয় নেতারা আসবেন। আগামী দিনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওরা রোহিঙ্গাদের ডেকে এনেছে। অনুপ্রবেশকারীদের ডাকছে। বাংলাদেশ থেকে অভিনেতা আনছে ভোটের প্রচারে। নিজেদের নেতাদের উপরে ভরসা নেই।''


বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়,''বহিরাগত মানে কী? উত্তরপ্রদেশ-দিল্লির লোককে এখানে আসতে গেলে ভিসা-পাসপোর্ট লাগবে? আপনারা কি এখন ঘোষণা করে দিচ্ছেন এটা পশ্চিম বাংলাদেশ! বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা বহিরাগত নয়, উত্তরপ্রদেশ-দিল্লির লোকেরা বহিরাগত?''


আরও পড়ুন- বহিরাগতদের মেনে নেবেন না মানুষ, BJP-র কেন্দ্রীয় নেতাদের নিশানা চন্দ্রিমার