অসুস্থতার সুযোগে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধির সামনে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। দলের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
অঞ্জন রায়
রাজ্য বিজেপিতে অভ্যুত্থানের চক্রান্ত! বিস্ফোরক এই অভিযোগ যেমন তেমন নেতার নয়, স্বয়ং রাজ্য বিজেপি সভাপতির। অভিযোগ, সম্প্রতি কোমরে অস্ত্রোপচারের পর তিনি যখন শয্যাশায়ী তখন দলের ভিতরেই তাঁকে পদ থেকে অপসারণের চেষ্টা করেছিল কেউ বা কারা। বুধবার ২৪ ঘণ্টার কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন দিলীপবাবু। সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ যখন সভাপতি হন, তখন তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরানোর জন্য সক্রিয় ছিল দলের একটা অংশ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ''আমি হাসপাতালে ভর্তি হতেই অনেক রকম গুজব রটেছে। সেই অপ্রচার আমার কানেও এসেছে। শুনেছি, দিলীপবাবু দলের কাজ করতে পারবেন না। আর হাঁটতে পারবেন না দিলীপ ঘোষ। কিন্তু আমি বাড়িতে বসেই সংগঠনের কাজ করছি। কেন্দ্রীয় নেতারা আমার উপরে আস্থা রেখেছেন।''
আরও পড়ুন- 'নব বঙ্গে'র মোড়কে লোকসভায় নজর মোদীর
দিন কয়েক আগে দিলীপ ঘোষের কোমরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সুযোগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ রাজ্য সভাপতির।
আরও পড়ুন- বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, যা আপনাকে জানতেই হবে
দিলীপ ঘোষের এহেন বিস্ফোরক অভিযোগের পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, কার দিকে আঙুল তুললেন দিলীপ? এনিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে বিজেপির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, তখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দলকে সমস্যায় ফেলতে পারে। দলের রাজ্য সভাপতিই যদি এমন আশঙ্কা করেন, তা রাজ্য বিজেপির পক্ষে মোটেই সুখকর বিজ্ঞাপন নয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পারস্পরিক বিবাদ মেটাতে না পারলে ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মত রাজনীতিক মহলের একাংশের।