'পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গী গ্যাংস্টার এদের শেল্টার হয়ে গেছে', তৃণমূলকে বেনজির আক্রমন দিলীপের
বাংলাদেশের যত জঙ্গি আল-কায়দা জেএমবি সবাই এসে পশ্চিমবাংলায় সেল্টার নিচ্ছে কারণ এখানকার সরকার এদের প্রতি নরম মনোভাব দেখায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন বিষয়ে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) আক্রমন করেন।
কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি কমানোর ফলে পেট্রোলের দাম ৫ টাকা ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমেছে এই বিষয়ে তিনি বলেন যে দাম বাড়ছে না অনেকদিন ধরে। সবাই বলছেন বলেই কেন্দ্রীয় সরকার শুল্ক কমিয়েছে। তিনি আরও বলেন যে রাজ্য সরকার বা অন্যান্য পার্টি যারা সমালোচনা করছেন তাদের ওই রাস্তায় হাঁটা উচিত। অনেক টাকা দাম বেড়েছিল তাই শুধু কেন্দ্র কমালে হবে না সঙ্গে রাজ্যের যে শুল্ক আছে সেটাও কমানো উচিত।
স্বাস্থ্য কমিশন যে ঘোষণা করেছেন যে শনি ও রবিবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যাবে সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেন যে হসপিটাল যদি সুবিধা না দেয় তাহলে পাওয়া যাবে কোথা থেকে? সরকারকে কেন লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন যে প্রায় ৬ মাস ধরে কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন যে একটি হাসপাতালে ৬৭ কোটি টাকা বাকি আছে এবং সেই কারনে তারা হাইকোর্টে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের কাছে যদি টাকা না থাকে তাহলে কার্ড দিয়েছেন কেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Petrol Price: অবশেষে কমল জ্বালানির দাম, জেনে নিন কত টাকায় কিনবেন আপনার শহরে
স্বাস্থ সাথী কার্ডের বিষয়ে বলার সময়েই তিনি বলেন যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা, দুর্গাপুজোর পর থেকে করোনা সংক্রমণ রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে এবং সবার সাবধান হওয়া উচিত। কালি পুজোতেও মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন উৎসবের জন্য এবং সর্তকতা থাকছে না। তিনি বলেন যে প্রশাসনকে যাতে করোনা বেড়ে না যায় কারন এর ভয়ঙ্কর পরিণতি সম্পর্কে সবিয়া জানেন। বেশি হাসপাতাল নেই তাই সবাই ভ্যাকসিন সবিয়া পাননি এখনও এবং সেই কারনেই সকলের সতর্ক থাকা উচিত বলেও তিনি বলেন।
এরপরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে এনআইএর হাতে জেএমবি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেন যে বিজেপি বারবার বলেছে পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গী গ্যাংস্টার এদের শেল্টার হয়ে গেছে। পাঞ্জাব থেকে নিউটাউনে এসে থাকছেন গ্যাংস্টার। বাংলাদেশের যত জঙ্গি আল-কায়দা জেএমবি সবাই এসে পশ্চিমবাংলায় সেল্টার নিচ্ছে কারণ এখানকার সরকার এদের প্রতি নরম মনোভাব দেখায়। ৫০ কিলোমিটার বর্ডারে বিএসএফ এর খমতা বাড়ানো কে ন্যায্যতা দিয়ে তিনি বলেন যে যারা অন্য দেশ থেকে ঢুকছে তাদেরকে যাতে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করে ধরতে পারে সেই কারনেই এই ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে এখানকার সরকার এই ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরোধিতা করছে কারন তারা চান না এখানে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের আসা বন্ধ হোক। কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ চেষ্টা করছে এবং সারা ভারতে বর্ডার গুলো সুরক্ষিত হয়ে গেছে কেবল পশ্চিমবাংলা বাদে। এখানকার রাজ্য সরকারের এটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না কারন এর পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।