বন্ড প্রশ্নে হাইকোর্টে গিয়েও স্বস্তি মিলল না চিকিত্সকদের
গ্রামের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক বাড়াতে ২০১৩ সালে প্রথমবার বন্ডের কথা বলে রাজ্য সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এমডি, এমএস পাশ করলে গ্রামে কাজ করতেই হবে, না হলে মোটা অঙ্কের বন্ড। এ নিয়ে হাইকোর্টে গিয়েও পুরোপুরি স্বস্তি পেলেন না চিকিত্সকরা। নভেম্বর থেকে রাজ্যের সব নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করলেও, বন্ড নির্দেশ খারিজের পথে গেল না আদালত।
গ্রামের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক বাড়াতে ২০১৩ সালে প্রথমবার বন্ডের কথা বলে রাজ্য সরকার। বলা হয়.
এমডি বা এমএস পাশ করলে একবছর গ্রামে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা করতে হবে।
অন্যথায় ১০ লাখ টাকা বন্ড দিতে হবে।
২০১৪ সালে নতুন নির্দেশিকায় সময় এবং টাকা বাড়িয়ে ৩ বছর ও ৩০ লাখ টাকা করা হয়।
এই নির্দেশিকা নিয়ে ২০১৭সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়।
৩ নভেম্বর অযৌক্তিক, অবৈধ বলে ২০১৪-র নির্দেশিকা খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চ।
তবে এক বছরের বন্ড নিয়ে নির্দেশিকা খারিজ হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘কাজ করা যাচ্ছে না’, পার্থকে বললেন সুরঞ্জন
২০১৮-এ যাঁরা এমডি, এমএস পাশ করেন গত একুশে জুন তাদের বন্ড নিয়ে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। তবে কত সময়ের জন্য কতটাকার বন্ড তা নির্দেশিকায় স্পষ্ট নয় বলেই অভিযোগ। আর এরজেরেই একাধিক মামলা হয় হাইকোর্টে।
কেন ২০১৭ -র নির্দেশ মানা হল না, সে প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য সচিবকে হাজির হতে নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার স্বাস্থ্য সচিব আদালতকে জানান,গতবছর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশর পরেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রেখেছে রাজ্য। তবে বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। ডিভিশন বেঞ্চের রায় পর্যন্ত আদালতের কাছে সময় চান তিনি। এর পরেই গত নভেম্বর থেকে রাজ্যের বন্ড সংক্রান্ত সব নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়। বন্ড প্রথা অবশ্য এদিন খারিজ করেনি আদালত। মালার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।