পুলিস, মুখ্যমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশন, কেউ দিতে পারেননি আশ্বাস, আদালতের দ্বারস্থ দত্তপুকুরে নির্যাতিতার পরিবার
দত্তপুকুর ধর্ষণ কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নির্যাতিতার পরিবার। তদন্তে দত্তপুকুর এবং বারাসত থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে মামলা করল নাবালিকার পরিবার। গতবছরের আটই জুলাই উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরে কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার সময় ধর্ষিতা হন ওই ছাত্রী। ভিক্টর রায় এবং ইন্দ্র নামে দুই পরিচিত যুবক ক্লাসে পৌছে দেওয়ার নাম করে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
দত্তপুকুর ধর্ষণ কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল নির্যাতিতার পরিবার। তদন্তে দত্তপুকুর এবং বারাসত থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে মামলা করল নাবালিকার পরিবার। গতবছরের আটই জুলাই উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরে কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার সময় ধর্ষিতা হন ওই ছাত্রী। ভিক্টর রায় এবং ইন্দ্র নামে দুই পরিচিত যুবক ক্লাসে পৌছে দেওয়ার নাম করে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
বাড়ি ফিরে মেয়েটি সব ঘটনা জানায়। প্রথমে বারাসত থানা এফআইআর নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। পরে ভিক্টরকে আটক করে পুলিস। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বারাসত থানার আইসি পরেশ রায়ের উপস্থিতিতে দত্তপুকুর ফাঁড়িতে সালিশি সভা বসে। অভিযোগ, সালিশি সভায় ছিলেন গোপাল কাঞ্জিলাল নামে কলকাতা পুলিসের একজন এএসআই। যিনি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলেও পরিচিত। সালিশি সভার নির্দেশে ধর্ষণে অভিযুক্ত ভিক্টর রায়কে বিয়ে করতে বাধ্য হন নির্যাতিতা। বিয়ের পর বাড়তে থাকে অত্যাচার। পরিবারের অভিযোগ, জোর করে ওই কিশোরীকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয়। ৩১ জানুয়ারি শ্বশুড়বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন নির্যাতিতা। দত্তপুকুর থানায় বধূনির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
১ ৩ তারিখ জেলার পুলিস সুপার,১ ৪ ফেব্রুয়ারি ডিজি, আইজি, স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, ১৭ তারিখ মানবাধিকার ও মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। সুরাহা না হওয়ায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পরিবার। ঘটনার পর কেটে গেছে এক বছর। এখনও মেলেনি সুরাহা। নির্যাতিতার আশা আদালতের বিচারে এবার নিশ্চই মিলবে সুবিচার।