প্রথম দফার পঞ্চায়েত ভোট দুভাগে করার প্রস্তাব
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাহিনী নিয়ে আজ দুপুরেই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিসের ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, বাহিনী সমস্যা মেটাতে প্রথম দফায় যে নয় জেলায় ভোট হওয়ার কথা তা দুভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাহিনী নিয়ে আজ দুপুরেই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিসের ডিজির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, বাহিনী সমস্যা মেটাতে প্রথম দফায় যে নয় জেলায় ভোট হওয়ার কথা তা দুভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
তাঁদের প্রস্তাব ছিল, প্রথম দফায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ভোট হোক। দ্বিতীয় দফায় ভোট হোক উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমানে। কিন্তু তা খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে কেন্দ্রের কাছে তিনশো কোম্পানি বাহিনী চেয়েও পায়নি রাজ্য সরকার। ফের আরও তিনশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানোর নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বাহিনী পাওয়া যাবে না জেনেও কেন্দ্রকে ফের চিঠি দেওয়ার নির্দেশ আসলে মুখ্যমন্ত্রীর কৌশল। ওই চিঠি দেখিয়ে সরকার আদালতে বলতে পারে, আপ্রাণ চেষ্টা করেও বাহিনী পাওয়া যায়নি। তবে তারপরেও কমিশন কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাহিনী না পাওয়ায় পঞ্চায়েত আইনের একশো সাঁইত্রিশ ধারা অনুযায়ী ভোট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।