একবালপুর হত্যাকাণ্ড : খুনের পর হায়দরাবাদে পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান ছিল খুনির!
ইতিমধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ছুরি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একবালপুর হত্য়াকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুন করার পর হায়দরাবাদে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃত সুলতান আনসারির। সেই মত টিকিটের ব্যবস্থা করা ছিল বলেও পুলিস জানতে পেরেছে। কিন্তু সেই প্ল্যান বদল করেই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয় সুলতান আনসারি।
কারণ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, লোক দেখে ফেলেছিল সুলতানের কুকীর্তি। তাই পালিয়ে গেলে বড় সাজা হতে পারে। সেই কথা ভেবেই থানায় আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদি তাতে সাজা কমে! উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ছুরি। এই ছুরি-ই খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ৬০ নম্বর ডা. সুধীর বোস রোডের এক বহুতলে মা ও দুই মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে ধৃত সুলতান আনসারি। তারপর নিজেই থানায় গিয়ে ধরা দেয় সে। এদিকে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান মা। দুই মেয়ের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। একবালপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
একই পরিবারের ৩ জনকে খুনের চেষ্টার পর খুনি নিজেই থানায় গিয়ে ধরা দেওয়ার ঘটনায় পুলিসও কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায়। ঠিক কী কারণে মা ও দুই মেয়েকে খুনের চেষ্টা করা হয়, তা নিয়ে প্রথমে দ্বন্দ্বে ছিল পুলিস। পরে জানা যায়, পারিবারিক বিবাদের জেরেই মা ও দুই মেয়ের উপর হামলা চালিয়েছে ধৃত। অভিযুক্ত মৃতার স্বামীর খুড়তুতো ভাই বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, অপরাধীদের সেফ শেল্টারের খোঁজে বাইপাস লাগোয়া হোটেলগুলিতে অভিযান কলকাতা পুলিসের