ভোটের আগে রাজ্যে কালো টাকা না ঢোকে, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে কড়া নির্দেশ কমিশনের
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিজির সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঢাকের কাঠি পড়ে গিয়েছে, নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হতে পারে যেকোনও সময়ে। একুশের ভোটে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পালনে তৎপর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এদিন নিজের দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিজি গঙ্গেশ্বর সিংয়ের সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করলেন তিনি। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন আই জি (হেডকোয়ার্টার) জয়রামণ-সহ অনেকেই। সূত্রের খবর, এবারের নির্বাচনে রাজ্যে বিভিন্ন পদে কর্মরত পুলিসকর্মীরা কে কোন পদে থাকবেন, তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে।
বিধানসভা ভোটে প্রায় দোরগোড়ায়, তবে এখনও পর্যন্ত নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। কলকাতা-সহ রাজ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণ কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ওই টাকার মালিক কারা? কী কারণেই ওই টাকা খরচ করা হবে? সে সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি। নির্বাচন কমিশন ও পুলিস সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। দিন কয়েক রাজ্যে এসেছিল নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। কমিশন সূত্রে খবর, তখন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোটের রাজ্যে যাতে কালো টাকা ও বেআইনি মদ না ঢোকে এবং তা নির্বাচনে কাজে ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে কমিশনের কড়া নির্দেশ, এক্ষেত্রে কোনওভাবে কাউকে রেয়াত করা যাবে না। এরপরই এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্য় নির্বাচন আধিকারিক।
আরও পড়ুন: শাহি দরবারে Rajib? হাওড়ার নেতার সঙ্গে বৈঠকে 'পাকা কথা' Suvendu-র
সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে গ্রিন পুলিস (Green Police) ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। সেক্ষেত্রে ভোটের সময়ে কনস্টেবল থেকে সার্কেন ইন্সপেক্ট পর্যন্ত কতজন পুলিসকর্মী কোন পদে থাকবে, তারজন্য তথ্যপঞ্জী তৈরির কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে রাজ্য়ে লোকসভা ভোটে অংশগ্রহণ করেছিলেন হাজার পাঁচেক মহিলা ভোটকর্মী। বিধানসভা ভোটে সেই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে বুথের সংখ্য়া বাড়ছে।