দল দিয়েছে মাত্র ১০ হাজার, পুরভোট লড়তে মেয়র পারিষদের খরচ প্রায় ১৫ লক্ষ

পুরভোটের আগে মহানগরী মুখ লুকিয়েছে হোর্ডিং আর ব্যানারে। কলকাতার দেওয়ালে দেওয়ালে এখন ঘাস ফুলের ছড়াছড়ি। টালা থেকে টালিগঞ্জ সর্বত্রই একই ছবি। কলকাতার ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করছেন দেবাশিস কুমার। রাস্তায় যেদিকেই তাকান, কোথাও তিনি হাসছেন, কোথাও আবার হাতজোড় করে দাড়িয়ে রয়েছেন। হোর্ডিং , কাটআউট আর আর দেওয়াল লিখনে  চারদিক ছয়লাপ। হোর্ডিংয়ের সংখ্যা কত? গোনা শিবেরও অসাধ্য। শুধুমাত্র একটি গলি ঘুরে এপাশ ওপাশ যোগ করতে করতে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৬। এরকম  আরও অসংখ্য গলি আছে। কম করে বলা যেতে পারে দেবাশিস বাবু এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত ৬০০  হোর্ডিং লাগিয়েছেন তার ওয়ার্ডে। এরপর দেওয়াল লেখা। তার সংখ্যাও নাই নাই করে ২৫০। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, চেন ফ্ল্যাগ এসব গোনা অসম্ভব। এবার একটু হিসেবনিকেশে চোখ বোলানো যাক।

Updated By: Apr 8, 2015, 10:24 AM IST
দল দিয়েছে মাত্র ১০ হাজার, পুরভোট লড়তে মেয়র পারিষদের খরচ প্রায় ১৫ লক্ষ

ওয়েব ডেস্ক: পুরভোটের আগে মহানগরী মুখ লুকিয়েছে হোর্ডিং আর ব্যানারে। কলকাতার দেওয়ালে দেওয়ালে এখন ঘাস ফুলের ছড়াছড়ি। টালা থেকে টালিগঞ্জ সর্বত্রই একই ছবি। কলকাতার ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করছেন দেবাশিস কুমার। রাস্তায় যেদিকেই তাকান, কোথাও তিনি হাসছেন, কোথাও আবার হাতজোড় করে দাড়িয়ে রয়েছেন। হোর্ডিং , কাটআউট আর আর দেওয়াল লিখনে  চারদিক ছয়লাপ। হোর্ডিংয়ের সংখ্যা কত? গোনা শিবেরও অসাধ্য। শুধুমাত্র একটি গলি ঘুরে এপাশ ওপাশ যোগ করতে করতে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৬। এরকম  আরও অসংখ্য গলি আছে। কম করে বলা যেতে পারে দেবাশিস বাবু এখনও পর্যন্ত অত্যন্ত ৬০০  হোর্ডিং লাগিয়েছেন তার ওয়ার্ডে। এরপর দেওয়াল লেখা। তার সংখ্যাও নাই নাই করে ২৫০। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, চেন ফ্ল্যাগ এসব গোনা অসম্ভব। এবার একটু হিসেবনিকেশে চোখ বোলানো যাক।

হোর্ডিংয়ের খরচ কত?

এই মুহুর্তের বাজারদর পার স্কোয়ারফিট ৮ থেকে ৯ টাকা। কাঠের ফ্রেম করে ঝোলাতে প্রায় ১৩ টাকা পড়ে যায়। তাও লো কোয়ালিটির। ভালো হলে ১৭ থেকে ১৮ টাকা পার স্কোয়ারফিট। এই ওয়ার্ডেই কমপক্ষে সবমিলিয়ে  ১২ হাজার স্কোয়ারফিটের হোর্ডিং রয়েছে।
যার বাজারদর কমকরে প্রায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা।

এরপর আসা যাক দেওয়াল লিখনে , ফ্লুরোসেন্ট রঙের দাম কেজি প্রতি৯০০ থেকে ১০০ টাকা। কোনও শিল্পীকে দিয়ে দেওয়াল লেখালে ১২ ফুট বাই ৪ ফুটের দেওয়াল লিখতে খরচ পড়ে ২৫০ টাকা। এই অঞ্চলে দেওয়াল লিখনের জন্য কমকরে খরচ হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার টাকা। প্লাস্টিকের ফ্ল্যাগ বানাতে ৪ থেকে ৫ টাকা পার পিস। এই ওয়ার্ডে ফ্ল্যাগে ঘাসফুল ফোটাতে  কমপক্ষে খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। এরপর আছে আকাশজুড়ে ব্যানার। তারও খরচ ৩০ থেকে ৪০ হাজারের কম নয়। সবমিলিয়ে খরচের অঙ্ক প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।

 

এরপরেও কর্মীদের খাওয়াদাওয়া, মাইক প্রচারের জন্য রয়েছে বেশকিছু খরচ। এরপর শুরু হবে জনসভা। খুব ছোট করে হলেও মাইক স্টেজ বেঁধে এক হাজার চেয়ার বসিয়ে জনসভা করতে খরচ পড়ে যায় প্রায় ২০ হাজার টাকা। ভোটের শেষে সবমিলিয়ে অঙ্কটা যে লাখ ১৫ ছুঁইছুঁই হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তৃণমূল ভবন থেকে প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা। বাকি টাকা পেলেন কোথায়?

নির্বাচনের খরচ নিয়ে এরআগেও বিরোধীদের বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু প্রচারের বহরতো কমেইনি বরং বেড়েছে আরও কয়েকগুন।

.