ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দশ হাজারেরও বেশি আসন খালি রয়ে গেল
বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও চলতি শিক্ষাবর্ষেও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দশ হাজারেরও বেশি আসন খালি রয়ে গেল। যারমধ্যে যাদবপুর, এবং শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে খালি আসনের সংখ্যা প্রায় ১০০। সোমবারই শেষ হয়েছে এবছরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাউন্সেলিং ও ভর্তির প্রক্রিয়া। কী কারণে এত আসন ফাঁকা রয়ে গেল সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও চলতি শিক্ষাবর্ষেও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দশ হাজারেরও বেশি আসন খালি রয়ে গেল। যারমধ্যে যাদবপুর, এবং শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে খালি আসনের সংখ্যা প্রায় ১০০। সোমবারই শেষ হয়েছে এবছরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাউন্সেলিং ও ভর্তির প্রক্রিয়া। কী কারণে এত আসন ফাঁকা রয়ে গেল সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত বছর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে অন লাইন কাউন্সেলিং। অথচ গতবছর কাউন্সেলিংয়ের শেষে দেখা যায় শিবপুর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বহু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রায় দশ হাজার আসন খালি পড়ে রয়েছে। এরমধ্যে শিবপুর এবং যাদবপুরের খালি আসনের সংখ্যা ছিল একশোরও বেশি। গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে যায়।
বাড়তি সতর্কতা নিয়ে এবছর চার দফায় কাউন্সিলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। কিন্তু এতকিছু ব্যবস্থা সত্ত্বেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কাছে যে তথ্য উঠে আসছে সেখানে দেখা যাচ্ছে এবছরও দশ হাজারেরও বেশি আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে। যার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা আসনের সংখ্যা প্রায় ৬০। শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা আসনের সংখ্যা প্রায় ৩০।
এত সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও কী কারণে এত আসন ফাঁকা থাকছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, বহু বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরিকাঠামো বেশ খারাপ হয়ে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা সেখানে পড়ার আগ্রহ হারাচ্ছে। তাই এত আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে। যদিও পাল্টা যুক্তিতে বলা হয়েছে, পরিকাঠামোগত সমস্যাই যদি একমাত্র কারণ হয় তাহলে যাদবপুর বা শিবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কেন এই বিশাল সংখ্যক আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে।
আর সেখানেই উঠে আসছে অন্য যুক্তি। কেউ কেউ মনে করছেন অন লাইন ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অস্পষ্টতাই এর অন্যতম কারণ। তবে কারণ যাই হোক না কেন, ছাত্রছাত্রীদের এই উদাসীনতা বা তা অনীহা, কিন্তু ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের প্রধানদের কপালে।