হাতুড়ে ডাক্তারের কুকীর্তি ফাঁস `২৪ ঘণ্টা`য় - দ্বিতীয় কিস্তি
ফের ভুয়ো ডাক্তার ধরল ২৪ ঘণ্টা। এবারও রাজারহাটে। ভুয়ো পরিচয়ে রমরমিয়ে দাঁতের চিকিত্সা করে চলেছেন এক ব্যক্তি। ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকের সামনে ফাঁস হল তার আসল পরিচয়।
ফের ভুয়ো ডাক্তার ধরল ২৪ ঘণ্টা। এবারও রাজারহাটে। ভুয়ো পরিচয়ে রমরমিয়ে দাঁতের চিকিত্সা করে চলেছেন এক ব্যক্তি। ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকের সামনে ফাঁস হল তার আসল পরিচয়।
রাজারহাট পঞ্চায়েত অফিসের কাছেই ডাক্তার এম কে ঘোষের চেম্বার। নাম ডেন্টাল কেয়ার। রোগীও নেহাত কম নয়। কোনও স্বীকৃত ডিগ্রি নেই এম কে ঘোষের। তবুও ডাক্তার। তাও আবার দন্ত বিশেষজ্ঞ। খবর পেয়ে রোগী পরিচয়ে আমরা হাজির হই এম কে ঘোষের চেম্বারে। বেশ কিছুক্ষণ চলে পরীক্ষা। তারপর এম কে ঘোষ জানান, অবিলম্বে দাঁতের রুট ক্যানাল প্রয়োজন। না-হলে দাঁতের নাকি বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
দাঁত দেখতে ১০০ টাকা ফি। রুট ক্যানালের খরচ আলাদা। তবে রুট ক্যানালের আগে অ্যান্টি বায়োটিক নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ডাক্তারবাবু। দিলেন সই করা প্রেসক্রিপশনও।
ডাক্তার ঘোষের লেটার হেডে, তাঁর পরিচয় সম্পর্কে লেখা, কলকাতা থেকে বিডিএএস পাশ করেছেন তিনি। কিন্তু দন্ত চিকিত্সক হতে হলে তো সরকার স্বীকৃত বিডিএস বা এমডিএস পাস করতে হয়। সারা দেশে বিডিএস এবং এমডিএস কোর্সই একমাত্র ডেন্টাল কাউন্সিল স্বীকৃত। তাহলে বিডিএএস?
খোঁজ খবর শুরু করতেই, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিডিএএস, এই ডিগ্রি আসলে অলটারনেটিভ মেডিসিনের। পুরো কথা, ব্যাচেলার অফ ডেন্টাল অলটারনেটিভ সার্জারি। ডেন্টাল কাউন্সিলের কর্তাদের মতে, এই ডিগ্রি নিয়ে দাঁতের চিকিত্সা করার কোনও যোগ্যতাই নেই এম কে ঘোষের। তাঁদের মতে, এম কে ঘোষ আসলে একজন ভুয়ো চিকিত্সক।
দন্ত চিকিত্সক না-হয়েও কীভাবে দিনের পর দিন রোগী দেখে যাচ্ছেন তিনি? কীভাবে লিখে যাচ্ছেন ওষুধ? আর কীভাবেই বা দাঁতের অস্ত্রোপচারও করে চলেছেন? যোগাযোগ করা হলে, হাতুড়ে দন্ত বিশেষজ্ঞ অবশ্য তাঁর অপরাধ কবুল করে নিয়েছেন।
ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে রোগী দেখা জাতীয় ডেন্টাল আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছেন ডেন্টাল কাউন্সিলের কর্তারা। অভিযোগ এলেই ভুয়ো ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।