আর্থিক অনিয়ম দায়ে কলকাতা পুরসভার সচিব
চরম সঙ্কটের মধ্যেই যথেচ্ছ আর্থিক অপচয়ের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুরসভার আধিকারিকদের নিজস্ব বিলাসিতার বিলও মেটানোর জন্য পাঠানো হচ্ছে পুরসভার কাছেই। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার পুরসভার চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়।
চরম সঙ্কটের মধ্যেই যথেচ্ছ আর্থিক অপচয়ের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুরসভার আধিকারিকদের নিজস্ব বিলাসিতার বিলও মেটানোর জন্য পাঠানো হচ্ছে পুরসভার কাছেই। শুক্রবার ঘটনার প্রতিবাদে পুরসভার চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন কংগ্রেসের ওই কাউন্সিলর।
আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে কলকাতা পুরসভা । একাধিকবার এ কথা স্বীকার করেছেন পুর কর্তারাই। ব্যয়সঙ্কোচের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে ঢাকঢোল পিটিয়ে মেয়র পারিষদের বৈঠকে `ব্যয়বহুল` বিরিয়ানির বদল `সস্তার` স্যান্ডুইচ আনার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু এরই বিপরীতে রয়েছে অন্য এক ছবি। অভিযোগ, পুরভারই আধিকারিক, কর্মীরা দেদার টাকা ওড়াচ্ছেন যেখানে সেখানে। শুধু তাই নয়, সেই বিলও মেটানোর জন্য এসেছে পুরসভার কাছেই।
অভিযোগ, পুর সেক্রেটারি এ মাসের ৭ তারিখ কলকাতার এক নামী হোটেলে খাদ্য পানীয় খেয়ে বিল পাঠিয়ে দিতে বলেন পুরসভায়। সেইমতো বিলও এসে পৌঁছোয়। দেখা যায়, ৬,৭৩৪ টাকার বিল পাঠিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। সেই বিল চলে যায় অ্যাকাউন্টস বিভাগে। এর পরই এই ঘটনা সামনে আসে, আর পুরভবনে তোলপাড় পড়ে যায়। এমনকী বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছোয়। তিনি গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হস্তক্ষেপ করেন। এরপরই সেক্রেটারি ওই বিল তড়িঘড়ি নিজেই মিটিয়ে দেন।
এই ঘটনাকে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় খুব একটা আমল দিতে রাজি হননি। তবে ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয় শরিক কংগ্রেস। কংগ্রেসের কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় পুরসভার চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভও দেখান। শেষপর্যন্ত চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অবশেষে বিক্ষোভের রাস্তা থেকে সরে আসেন কংগ্রেসের কাউন্সিলর। সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কেউ করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনা সামনে আসার পর তোলপাড় হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেয়র নিজে যেখানে ঘটনাটিকে বিশেষ আমল দিতে রাজি নন, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে পুর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কতটা সক্রিয় হবে তা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে।