মহেশতলা পুর অঞ্চলে বারবার অগ্নিকান্ড, প্রতিবারই অভিযুক্ত চেয়ারম্যান
মহেশতলা পুরসভার মোল্লার গেট, সন্তোষপুর সহ সংলগ্ন এলাকা। গত এক বছরে এইসমস্ত জায়গায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকায় জমির বাজারদর এখন আকাশছোঁয়া। মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল। সেকারনেই বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই কাজের পিছনে দুলাল দাসের পাশাপাশি তাঁর ছেলে দেবাশিস দাসের নামও উঠে আসছে।
মহেশতলা পুরসভার মোল্লার গেট, সন্তোষপুর সহ সংলগ্ন এলাকা। গত এক বছরে এইসমস্ত জায়গায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকায় জমির বাজারদর এখন আকাশছোঁয়া। মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল। সেকারনেই বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই কাজের পিছনে দুলাল দাসের পাশাপাশি তাঁর ছেলে দেবাশিস দাসের নামও উঠে আসছে।
মহেশতলা, সন্তোষপুর এলাকা। জনসমাগম ক্রমেই বাড়ছে এই এলাকাগুলিতে। হু হু করে বাড়ছে জমির দামও। আর এর সঙ্গে বেড়ে চলেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও। কার্যত পাল্লা দিয়ে।
তথ্য বলছে, একের পর এক যে আগুন লাগার ঘটনা মহেশতলায় ঘটছে তার প্রায় সবকটাই সন্তোষপুর এবং সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিক্ষেত্রে নাম উঠছে দুলাল দাস বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের।
কয়েকমাস আগে মোল্লার গেটে একটি গোডাউনে আগুন লেগেছিল। গোডাউনটির মালিক জামসেদ মোল্লা। তিনি আবার মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তখন অভিযোগ উঠেছিল, গোডাউনটির ভাড়া প্রতি বর্গফুটে তিন টাকা। জানা যাচ্ছে, এখন বাজারদর প্রতি বর্গফুটে মাত্র কুড়ি বা বাইশ টাকা। অভিযোগ, সেই কারণেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত এগোয়নি তদন্ত। আগুন কীভাবে লাগল, অগ্নিকাণ্ডের দায় কার, জানা যায় নি।
এই এলাকাতেই একটি পুরনো শুটিং ফ্লোরেও একইরকম ভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রেও কেন হল, কীভাবে হল, তা স্পষ্ট হয়নি।
শনিবার যে ষোলো বিঘা বস্তিতে আগুন লাগে, সেখানেও এনিয়ে তিন-তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
শনিবার যে ষোলো বিঘা বস্তিতে আগুন লাগে, সেখানেও এনিয়ে তিন-তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। অভিযোগ উঠছে, নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছেন এসবের পিছনে। চেয়ারম্যান দুলাল দাসের পাশাপাশি তাঁর ছেলে দেবাশিস দাসের নাম উঠে এসেছে।
এছাড়াও প্রসেনজিত্ দাস, অচ্যুত মজুমদার, বাটানগর এলাকার বাসিন্দা পীযূষ, সুকান্ত, মঙ্গল পাঁজা, এদের নামেও অভিযোগের শেষ নেই। আর রয়েছেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপিকা দত্ত। যার নাম রয়েছে শনিবারের ষোলো বিঘা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এফআইআরেও। একের পর এক আগুন লেগেছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আগুন বেড়েছে। পুলিস-প্রশাসন বা সরকার কিন্তু নির্বিকার।