বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়াল ন্যাশনাল মেডিক্যালে
শনিবার সকালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল। আজ সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ হাসপাতালের রামমোহন ব্লকের একতলায় মেডিসিনের আউটডোরের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। একটি সাইকেলে বিস্ফোরক রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে একটি সূত্রে খবর মেলে। যদিও পুলিস কিংবা হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
শনিবার সকালে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল। আজ সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ হাসপাতালের রামমোহন ব্লকের একতলায় মেডিসিনের আউটডোরের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। একটি সাইকেলে বিস্ফোরক রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে একটি সূত্রে খবর মেলে। যদিও পুলিস কিংবা হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মেডিসিন আউটডোর সাফ করার সময় জনৈক সাফাইকর্মী একটি সবুজ রঙের পলিথিনের প্যাকেট সরাতে গেলে দেওয়ালে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় ওই সাফাইকর্মী আহত হয়েছেন। এরপর সংলগ্ন রামমোহন ব্লকের কিছু অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, আহত ওই সাফাই কর্মীর নাম অমিত। তাঁর শরীরে একাধিক স্পিলন্টারের আঘাত লেগেছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের আই ওয়ার্ডে।
খবর পেয়ে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন হাসপাতালে পৌঁছয়। বিস্ফোরণে হাসপাতালের এক সাফাইকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিসের বম্ব স্কোয়াড ও স্নিফার ডগ। দমকলের তরফে ছোট বিস্ফোরণের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কী করে হাসপাতাল চত্বরে বিস্ফোরক আনা হল, কেনই বা তা কারও চোখে পড়ল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। ঘটনার পর রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এদিনের ঘটনার পিছনে `অন্তর্ঘাত`-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, বিস্ফোরণের পিছনে অন্তর্ঘাত থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।