ভোটের আগে একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল? মেলাবেন Netaji?

নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে ইতিমধ্যেই কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

Updated By: Dec 22, 2020, 06:15 PM IST
ভোটের আগে একমঞ্চে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল? মেলাবেন Netaji?

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘনিয়ে আসছে বাংলার বিধানসভা ভোট। তার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনে বঙ্গ-আবেগে শান দিতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নিজেই বাংলায় টুইট করে জন্মজয়ন্তী উদযাপনে একটি কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছেন। তার মাথায় থাকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঠিক তখনই বাংলায় নেতাজির জন্মদিন উদযাপনে বিজেপিকে ব্রাত্য রেখে কংগ্রেস-তৃণমূল-বামেদের একমঞ্চে থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। উদযাপন কমিটি গঠনে সিপিএম-কংগ্রেস তো বটেই, তৃণমূলকেও আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক। ওই সভায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।               

২৯ ডিসেম্বর মহাবোধি সোসাইটিতে সাধারণ সভা ডেকেছে ফরওয়ার্ড ব্লক (Forward Bloc)। ওই সভায় ডাকা হয়েছে তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সিকে। ফব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় (Naren Chatterjee) বলেন,'সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষকে নিয়ে নেতাজি জন্মজয়ন্তী কমিটি গঠন করব। নেতাজি ও তাঁর পথকে পাথেয় করে কর্মসূচি নেব। ২৩ জানুয়ারি বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে তাঁর জন্মজয়ন্তী উদযাপন করতে চাইছি।' অ-বিজেপি সব দলকে সাধারণ সভায় আমন্ত্রণ করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। বাম-কংগ্রেস তো থাকছেই, সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন, তৃণমূলের তরফে থাকবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটা হলে নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপনে একমঞ্চে দেখা যেতে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলকে। বিজেপিকে বাদ দিচ্ছেন কেন? নরেন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়,'আমরা চাই বৃহত্তর ঐক্য গড়ে উঠুক। নেতাজির মতাদর্শের বিরোধী কাউকে আমন্ত্রণ জানাব না। অসাম্প্রদায়িক ভারতের স্বপ্ন দেখতেন নেতাজি। বিজেপি সেই ভাবনায় বিশ্বাসী নয়।' এর পাশাপাশি বিজেপির নেতাজি-প্রেম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়,'তাহলে ওরা নেতাজির জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস ঘোষণা করুক।'               

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ইদানীং উঠে আসছেন বাংলার মনীষীরা। ঋষি অরবিন্দ, রবীন্দ্রনাথ থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম করছেন নরেন্দ্র মোদী। অনেকেই বলছেন, বাঙালির আবেগ ছোঁয়াই প্রধানমন্ত্রীর  লক্ষ্য। তার পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে 'বহিরাগত' ও 'বাংলার কৃষ্টি -সংস্কৃতি বিরোধী' বলে আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এহেন প্রেক্ষাপটে রাজ্যে বিজেপিকে বাদ দিয়ে শাসক-বিরোধী নেতারা একমঞ্চে আসলে তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।                          

আরও পড়ুন- বুধবার ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি, ৩১ জানুয়ারি তৃতীয় টেট: Mamata

.