টিএমসিপির উপচার্য ঘেরাও আর কিছু প্রশ্ন
গণশক্তিকে শতবার্ষিকী হল ভাড়া দিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পক্ষপাতিত্ব করেছে। এই অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে সোমবার ঘেরাও করে টিএমসিপি সমর্থকেরা। অবস্থান-বিক্ষোভ চলে উপাচার্যের ঘরের সামনেও। কিন্তু টিএমসিপির এই অভিযোগ কতটা যথার্থ? তথ্য বলছে ওই একই হলে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন। তাও বেশি দিন আগে নয়।
গণশক্তিকে শতবার্ষিকী হল ভাড়া দিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পক্ষপাতিত্ব করেছে। এই অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে সোমবার ঘেরাও করে টিএমসিপি সমর্থকেরা। অবস্থান-বিক্ষোভ চলে উপাচার্যের ঘরের সামনেও। কিন্তু টিএমসিপির এই অভিযোগ কতটা যথার্থ? তথ্য বলছে ওই একই হলে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন। তাও বেশি দিন আগে নয়।
প্রশ্ন উঠছে, তখন কেন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে শ্লোগান ওঠেনি? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শতবার্ষিকী হল যে কেউই ভাড়া নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হয়। রেজিষ্ট্রার সব খতিয়ে দেখে তা পাঠিয়ে দেন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য । সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই হল ভাড়া দেওয়া হয়। তিন হাজার টাকা কশান মানি ও পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয় হলের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অনুমোদন পাওয়া এই নিয়ম মেনেই এতদিন প্রত্যেককে হল ভাড়া দিয়ে এসেছে কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে বাদ পড়েনি শাসক দলের বিভিন্ন সংগঠনেরও অনুষ্ঠান। এবছরের জুন মাসেই রীতিমত এই হলেই আই এন টিটি ইউ সি-র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দোলা সেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য সংগঠনও হল ভাড়া নিয়ে অনুষ্ঠান করেছে।
২৩ জুন হল ভাড়া নিয়েছিল আই এন টিটি ইউ সি
১ ডিসেম্বর হল ভাড়া নিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক
২ ডিসেম্বর এল আই সি-র অনুষ্ঠানে হল ভাড়া দেওয়া হয়েছিল
গণশক্তির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের জন্য শতবার্ষিকী হল ভাড়া দিয়ে এসএফআইয়ের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছেন উপাচার্য। এই অভিযোগের পাশাপাশি সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ ছিল কেন সি পি আই এম নেতার সঙ্গে নিজের ঘরে কথা বলেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু তথ্য বলছে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারের সময় মদন মিত্র সহ বহু রাজনাতিক নেতাই উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁর ঘরে। সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও উপাচার্যের সঙ্গে এসে কথা বলেছেন তাঁর ঘরে এসে। ফলে সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই মনে করছেন শুধুমাত্র বিক্ষোভ দেখিয়ে পরিবেশ গরম করার জন্যই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সোমবারের বিক্ষোভ।