অমিতের সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান, ধৃত বিজেপি কর্মীদের ২ জনের পুলিসি হেফাজত
অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে বিজেপি সেলের প্রায় ৩০ জন আইনজীবী সওয়াল করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদিন ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ধ্রুব বসুর বয়স (৭৩ বছর) বিবেচনা করে তাঁর শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। বাকি ২ জন, সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি ও পঙ্কজ প্রসাদকে ৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় 'গোলি মারো' স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে। শহরের রাজপথে উস্কানিমূলক মন্তব্যের ঘটনায় সক্রিয় হয় পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ৩ জনকে। তারপরই রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ নামে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই নিউ মার্কেট থানায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৩-A (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে উস্কানি দেওয়া), ৫০৫ (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি দেওয়া), ৫০৬ (কোনও ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া) এবং ৩৪ (সমবেত ভাবে অপরাধ করা)- এই ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের। ধৃত ৩ জনই পদ্ম শিবিরের আইনজীবী সেলের সদস্য। অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন বিজেপি সেলের প্রায় ৩০ জন আইনজীবী। ধৃতদের জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানিয়ে তাঁরা দাবি করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুলি করার কথা কাউকে উদ্দেশ করে বলা হয়নি। নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করেও বলেননি অভিযুক্তরা। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল হয়। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, পুলিসের সামনেই উঠল ‘গোলি মারো’ স্লোগান, এই সাহস আগে দেখাতে পারেনি কেউ: সেলিম
আর ওপড়ুন, ভুবনেশ্বরে সেটিং, যারা ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিল তাদেরও জামাই আদর মমতার পুলিসের: সোমেন
যার তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে তিনি যুক্তি দেন, অভিযুক্তদের বক্তব্য উসকানিমূলক। এর মাধ্যমে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছিলেন। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পর শর্তসাপেক্ষে ধৃত ধ্রুব বসুর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে ধৃত বাকি ২ বিজেপি কর্মীর জামিন খারিজ করে তাঁদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, এদিন শুনানি চলাকলানী বিজেপি সেলের আইনজীবীরা CAA ও NRC প্রসঙ্গও তোলেন। কেউ CAA সমর্থন করলেই কি পুলিস তাঁদের গ্রেফতার করে নেবে? প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা।