অমিত শাহের সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত আরও ২৫
গোলি মারো স্লোগান দিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা।
![অমিত শাহের সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত আরও ২৫ অমিত শাহের সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত আরও ২৫](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/03/02/237299-237169-9.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও ২৫ জনকে শনাক্ত করল লালবাজার। তাঁদের চিহ্নিতকরণ ও ধরপাকড়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি, রবিবার শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভাস্থলে এক প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ান আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় একটি জেনারেল ডায়েরি হয় ময়দান থানায়। আজ তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখা হয়। দেখা যায়, লাইসেন্স ঠিক রয়েছে। কিন্তু কেন ওই প্রাক্তন আধাসেনা জওয়ান আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সভাস্থলে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনটাই জানা গিয়েছে লালবাজার সূত্রে। অন্যদিকে, গোলি মারো স্লোগান দিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা। পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, "এধরনের স্লোগান অশান্তি সৃষ্টি করে। কোনও রকমভাবে তা বরদাস্ত করবে না কলকাতা পুলিস।"
প্রসঙ্গত, রবিবার শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় 'গোলি মারো' স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে। শহরের রাজপথে উস্কানিমূলক মন্তব্যের ঘটনায় সক্রিয় হয় পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ৩ জনকে। তারপরই রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ নামে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই নিউ মার্কেট থানায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৩-A (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে উস্কানি দেওয়া), ৫০৫ (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি দেওয়া), ৫০৬ (কোনও ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া) এবং ৩৪ (সমবেত ভাবে অপরাধ করা)- এই ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
আরও পড়ুন, নয়া হোমটাস্ক 'বাংলার গর্ব মমতা', টিকিট পেতে আজ থেকেই 'খাতাবই' খুলে বসলেন বিধায়করা
আরও পড়ুন, বাংলার গর্ব মমতা : বিধায়কদের ১০ দফা হোমটাস্ক বেঁধে দিলেন নেত্রী
এদিন ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত ৩ জনই পদ্ম শিবিরের আইনজীবী সেলের সদস্য। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পর শর্তসাপেক্ষে ধৃত ধ্রুব বসুর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে ধৃত বাকি ২ বিজেপি কর্মীর জামিন খারিজ করে তাঁদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে এই ঘটনায় এদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে 'জালিয়ানওয়ালাবাগ' প্রদর্শনী উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, "তুচ্ছ ঘটনা। হাজার জনের মধ্যে একজন কে কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। আপনারা সেনসেশনালাইজ করছেন। গোলি মারো স্লোগান আমি মনে করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাদের কাছে এটা ১০০ শতাংশ সেনসেশনাল। কিন্তু আমার কাছে এই ধরণের জিনিস ০.১ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ।"