কেকেআরের আইপিএল জয়কেই পরিবর্তন বলেছি: রাজ্যপাল
"পাঁচ বছর পর কেকেআরের আইপিএল জয়কেই পরিবর্তন বলেছি। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সাফল্যের কোনও সম্পর্ক নেই। বুধবার ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে এইভাবেই তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। মঙ্গলবার ইডেনে নাইটদের জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাই প্রকৃত পরিবর্তন।"
"পাঁচ বছর পর কেকেআরের আইপিএল জয়কেই পরিবর্তন বলেছি। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সাফল্যের কোনও সম্পর্ক নেই।" বুধবার ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে এইভাবেই তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। মঙ্গলবার ইডেনে নাইটদের জয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এটাই প্রকৃত পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতিই মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন।" রাজ্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে।
আইপিএল জয়ের পর মঙ্গলবার ইডেনে কেকেআরকে সংবর্ধনা দেয় রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানে অনেকটা অন্য মেজাজে পাওয়া যায় রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে। নাইটদের প্রশংসার পাশাপাশি কেকেআরের এই জয়ের জন্য রাজ্য সরকারের পরিবর্তন স্লোগানকেও টেনে আনেন তিনি। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। তাঁর এই ধরণের মন্তব্য করা উচিত্ নয় বলে সমালোচনা করেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যপাল কি নাইটদের জয়কে রাজ্য সরকারের সাফল্য হিসেবে দেখছেন? নাহলে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদাধিকারী কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্য হিসেবে এই জয়কে তুলে ধরছেন। সেই বিতর্কের জেরেই আজ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে ফের মুখ খোলেন রাজ্যপাল।
২৪ ঘণ্টার মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবারের বক্তব্য থেকে রাজ্যপাল অনেকটা সরে আসলেও তাঁর বুধবারে বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, বুধবার বলছেন, তিনি রাজ্য সরকারের স্লোগানের প্রসঙ্গ টানেননি। যদিও মঙ্গলবারের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েই পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। দ্বিতীয়ত, তাঁর বুধবারের বক্তব্যকে যদি ঠিক ধরে নিতে হয়, তাহলে বুঝতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তনের স্লোগানে আইপিএল জয়ের প্রতিশ্রুতিও ছিল। নাহলে রাজ্যপাল এখন এই যুক্তি দিচ্ছেন কেন যে তিনি পরিবর্তন বলতে আইপিএল জয়কেই বোঝাতে চেয়েছেন? তৃতীয়ত, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হয়ে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জয় নিয়ে কেনই বা এতটা এতিসক্রিয়তা দেখাতে গেলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, নিজের আগের মন্তব্যের জেরে তৈরি হওয়া বিতর্ক এড়ানোর জন্যই তড়িঘড়ি অবস্থান বদল করলেন রাজ্যপাল। যদিও তাঁর বুধবারের যুক্তির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।