কলকাতার রাস্তায় 'গোলি মারো'! 'তুচ্ছ ঘটনা, ০.১ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ', বললেন রাজ্যপাল
রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ নামে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "তুচ্ছ ঘটনা। হাজার জনের মধ্যে একজন কে কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। আপনারা সেনসেশনালাইজ করছেন। গোলি মারো স্লোগান আমি মনে করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাদের কাছে এটা ১০০ শতাংশ সেনসেশনাল। কিন্তু আমার কাছে এই ধরণের জিনিস ০.১ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ।" ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে 'জালিয়ানওয়ালাবাগ' প্রদর্শনী উদ্বোধনে এসে বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
প্রসঙ্গত, রবিবার শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় 'গোলি মারো' স্লোগানে উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে। শহরের রাজপথে উস্কানিমূলক মন্তব্যের ঘটনায় সক্রিয় হয় পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ৩ জনকে। তারপরই রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ নামে ৩ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের বিরুদ্ধে রাতেই নিউ মার্কেট থানায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৩-A (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে উস্কানি দেওয়া), ৫০৫ (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি দেওয়া), ৫০৬ (কোনও ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া) এবং ৩৪ (সমবেত ভাবে অপরাধ করা)- এই ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
এদিন ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত ৩ জনই পদ্ম শিবিরের আইনজীবী সেলের সদস্য। অভিযুক্তদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন বিজেপি সেলের প্রায় ৩০ জন আইনজীবী। ধৃতদের জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানান তাঁরা। যার তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাবের পর শর্তসাপেক্ষে ধৃত ধ্রুব বসুর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে ধৃত বাকি ২ বিজেপি কর্মীর জামিন খারিজ করে তাঁদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন, পুরভোট বা বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির ভরসা মুকুলই, সিলমোহর খোদ শাহের
আরও পড়ুন, এটা দিল্লি নয়, কলকাতা, 'গোলি মারো' স্লোগানে নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে পাল্টা অ্যাটাক মমতার
উল্লেখ্য, 'দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো' স্লোগানে কোনও ভুল খুঁজে পাননি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। বরং এক কদম এগিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, "গোলিতে কাজ না হলে গদ্দারদের বিরুদ্ধে কামান দাগাও।" একইসঙ্গে সায়ন্তন বসুর সাফ হুঁশিয়ারি, "যে পুলিস অফিসারদের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিজেপি সরকারে এসে তাঁদের দেখে নেবে।" গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বিজেপি উচ্চ আদালতে যাবে বলেও জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু।