এটা দিল্লি নয়, কলকাতা, 'গোলি মারো' স্লোগানে নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে পাল্টা অ্যাটাক মমতার

পরিকল্পনা করে গণহত্যা হয়েছে দিল্লিতে

Updated By: Mar 2, 2020, 01:34 PM IST
এটা দিল্লি নয়, কলকাতা, 'গোলি মারো' স্লোগানে নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে পাল্টা অ্যাটাক মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: পাখির চোখ একুশের নির্বাচন। দিদিকে বলোর পর এবার দ্বিতীয় দফায় তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি 'বাংলার গর্ব মমতা'। এই স্লোগানেই নয়া ক্যাম্পেনে তাক লাগানোর তোড়জোড় শুরু করেছে তৃণমূল। ঘাসফুলের বিকল্প যে ঘাসফুলই মানুষকে তা বোঝাতে দশ ধাপের কর্মসূচিতে জোর দিতে আজ থেকেই মাঠে নামল দল। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তারই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার শুরুতেই দিল্লিতে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই দলের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি গতকাল শাহ-এর সফর নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লির হিংসার বিরুদ্ধেও। 

এ দিন নেতাজি ইন্ডোরের মেগা মঞ্চ থেকেও রাজধানীর হিংসায় সরব হয়েছে মমতা। দিল্লিতে পরিকল্পিত গণহত্যা। পরে দেওয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক মোড়ক। চাঁচাছোলা ভাষায় মোদী সরকারকে ধিক্কার জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি 'গোলি মারো' স্লোগানে অল আউট অ্যাটাকও করেছেন মমতা। এটা দিল্লি নয়, কলকাতা। বেআইনি, দানবিক  ভাষা বরদাস্ত নয় বলেই সাফ বার্তা তাঁর।

কী বললেন নেত্রী রইল একঝলকে

* পরিকল্পনা করে গণহত্যা হয়েছে দিল্লিতে
* পুলিস, সেনা, আধা সেনা থাকা সত্বেও কেন এত হিংসা হল
* কে গদ্দার মানুষ ঠিক করবে। আমার রাজ্যে এরকম স্লোগান মাত্রই একরাতে আমি গ্রেফতার করিয়ে দিয়েছি
* প্রতিদিন নালা খুলছে আর একটা করে মৃত গেহ বেরোচ্ছে কেন হচ্ছে এমন, জবাব দিতে হবে ওদের
*  দিল্লির মানুষ প্রাণ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। নেতাদের বলছি, ফিরে গিয়েই তহবিল তৈরি করুন, আমরা সাহায্য করব, যাঁরা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াব। যাঁরা প্রাণের ভয়ে পালিয়েছেন তাঁরা মনে করলে আসুন। আমাদের দরজা খোলা আছে। আমরা আশ্রয় দেব। এই বাংলা মায়ের আঁচল। চোখের জল মুছে দেয়। 
* ওদের ফর্মূলা খেলা খেলা যুদ্ধ লাগিয়ে ভোট জিতে পালিয়ে যাও
* পরিকল্পনা করে গণহত্যা হয়েছে দিল্লিতে
* প্রতিবাদের ক্ষেত্রে কখনও পিছু হটেনি বাংলা। বাংলা চিরকাল ভারতকে পথ দেখিয়েছে। যখনই দেশে সঙ্কট এসেছে বাংলা দেশের হাল ধরেচে। এই অস্থির সময়ে আমাদের আরও নম্র আরও বিনয়ী হতে হবে। 
* বিজেপির মতো ঘৃণা শেখাব না। ভালবাসতে শিখব
*  ইলেকশন আসবে চলে যাবে। ভোট গণতন্ত্র ভিত্তিক তাই গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে হবে। একদিন নয় এই কাজ রোজ  করতে হবে। 
* যে অন্যায় করেছে ছেড়ে দেওযা যাবে না, এটা কলকাতা, দিল্লি নয়। দিল্লিতে করে পার পাবে। কিন্তু এখানে অন্যায়ের শাস্তি হবেই।
* বুক পেতে রক্ত দেবে বাংলা। 
* সৈরাচারি সরকার বিদায় না করা পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেবেন না। 
* পরীক্ষা শেষ, এবার আগামী বুধবার থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করবে। এক ঘণ্টা করে মিছিল হবে সমস্ত ব্লকে। এই ধিক্কার মিছিলের নাম হবে ছিঃ ছিঃ। 
ওরা নানা ভাবে প্ররোচনায় তৈরির চেষ্টা করবে। আপনারা তাতে পা দেবেন না।
* এতকিছুর পরও ক্ষমা চাওয়া দূরের কথা এখানে এসে বলছে দখল নিতে হবে, বুঝুন
* উত্তরপ্রদেশে বমেয়েরা অভিযোগ করলে পুড়িয়ে মারা হয়। কোনও বিচার নেই সেখানে
* প্রশাসন পুলিস নিজেদের কাজ করবে। কাগজে, টিভিতে ছবি দেখে শনাক্ত করলেই পুলিসকে জানান। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।
* দিল্লি হচ্ছে একটা পুরসভার মতো জায়গা, ওইটুকু জায়গা সামলাতে পারে না আবার বাংলা চাইতে এসেছে। 
* গজু ভাই আপনি বাংলার লোক? আপনি কি গজা খেয়ে বাংলা চালাবেন।
* কাশ্মীর দখল করলেন আর আমার ছেলেমেয়েগুলোর রক্তমাখা মৃতদেহ এল।

এদিন দলকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেত্রী। এদিন তিনি বলেন, 

* দলের থেকে নিজেকে বড় ভাববেন না কখনও। দলের থেকে বড় নয় কেউ। এই দলের লবি হয় না, ভাল কাজ করলে তার টিকিট নিশ্চিত। বাজে কাজ করলেই বাদ। দল যা বলবে শুনতে হবে। দরকারে আমি নতুন কর্মী তৈরি করে নেব।
* দলের যে পুরনো কর্মীরা মান-অভিমান করে বসে আছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হবে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।

 

.