একুশের নির্বাচনে গাফিলতি হলেই আধিকারিককে অপসারণ, সিদ্ধান্ত কমিশনের
শোকজের উত্তরের জন্য অপেক্ষা নয়।
![একুশের নির্বাচনে গাফিলতি হলেই আধিকারিককে অপসারণ, সিদ্ধান্ত কমিশনের একুশের নির্বাচনে গাফিলতি হলেই আধিকারিককে অপসারণ, সিদ্ধান্ত কমিশনের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/01/13/301589-untitled-82.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: শোকজের (Show Cause) উত্তরের জন্য অপেক্ষা নয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় (Election Process) গাফিলতির অভিযোগ এলেই এবার সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে। একুশের বিধানসভা ভোটে (Assembly Election 2021) পরিচালনায় কমিশন এমনই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এসে এদিন জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপ নির্বাচন কমিশনার (Deputy Election Commissioner) সুদীপ জৈন। জানা যাচ্ছে, বৈঠকে প্রশ্নবাণে কার্যত জেরবার হতে হয় কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনারকে। স্রেফ ৬ মাসের পরিসংখ্যান নয়, তাঁদের কাছে ২০১৯- লোকসভা, এমনকী ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার।
উল্লেখ্য, ভোটের বাংলার চড়ছে রাজনীতির পারদ। নির্বাচনের ময়দানে বিনা যুদ্ধে কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি। মিটিং, মিছিলে যেমন জোরদার প্রচার চলছে, তেমনি সংঘর্ষের ঘটনাও বাড়ছে। একুশের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে তো? প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নয় কমিশন। সূত্রের খবর, মে-তে নয়, এপ্রিলে গোড়াতেই বিধানসভা ভোট হতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বুথ বা ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: 'চালচোর'-এ গোঁসা Jyotipriya-র, Dilip-র বিরুদ্ধে ঠুকলেন মামলা
নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ফের বাংলায় এসেছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ (Deputy Election Commissioner) জৈন। রাতে কলকাতা পৌঁছনোর পর, বুধবার সকাল থেকে জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকে বসেন তিনি। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খোঁজখবর নেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। সূত্রের খবর, উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়েন কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার। গত ৬ মাসে এলাকায় রাজনৈতিক গন্ডগোল, অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পেশ করেন পুলিস কমিশনাররা। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি উপ নির্বাচন কমিশনার। উল্টে তিনি জানতে চান, ২০১৯-র লোকসভা ভোটে ও ২০১৬০র বিধানসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি কেমন ছিল? বস্তুত, কলকাতার পুলিস কমিশনারকে আগামীকাল ফের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খবর। ব্যারাকপুর, রানাঘাট, বারাসাত এবং কোচবিহারের পুলিস সুপারের রিপোর্টেও উপ নির্বাচন কমিশনার সন্তুষ্ট নন বলে জানা গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে ফের জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও পুলিস কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সুদীপ জৈন এবং সেই বৈঠকে লোকসভা ভোটে ও বিধানসভা ভোটের আগের পরিস্থিতি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেশ করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তিনি।