Haridevpur Murder: হরিদেবপুরে বাপ্পা খুনে পর্দা ফাঁস, কারা কেন হত্যা করে? জানাল পুলিস
নিজের বাড়ির শৌচালয়েই উদ্ধার হয় বাপ্পা ভট্টাচার্য (৪২)-র দেহ। ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ ছিল। মৃতদেহের মাথাতেও ছিল আঘাতের চিহ্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মদের আসরে বচসার জেরেই খুন (Murder) বাপ্পা ভট্টাচার্য। হরিদেবপুর (Haridevpur) খুনের কিনারা করল পুলিস। খুনের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বিহার থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত কুন্দন কুমারকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আরও ২ অভিযুক্তের খোঁজ মেলে। এরপরই পাথরপ্রতিমা থেকে বাকি ২ অভিযুক্ত দেবরাজ রায় ও জিতেন লামা ওরফে বিট্টুকে গ্রেফতার করে পুলিস। ২ জনই কুন্দন কুমারের বন্ধু।
পুলিস সূত্রে খবর, মদ খাওয়া নিয়ে ঝামেলা বাঁধে ৪ জনের মধ্যে। মদের আসরে বচসার সময়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাগের মাথায় বাপ্পাকে খুন (Murder) করে অভিযুক্তরা। মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বাপ্পাকে। প্রসঙ্গত, নিজের বাড়ির শৌচালয়েই উদ্ধার হয় বাপ্পা ভট্টাচার্য (৪২)-র দেহ। ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ ছিল। মৃতদেহের মাথাতেও ছিল আঘাতের চিহ্ন। লালবাজারের উল্টো দিকে একটি চা পাতা বিক্রির দোকানে কর্মচারী ছিলেন বাপ্পা ওরফে সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। শনিবার থেকে তিনি আর কাজে যাননি। রবিবার তাঁর সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী পিঙ্কি ভট্টাচার্যের। কিন্তু তারপর থেকেই বাপ্পার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার রাতে পিঙ্কি এক প্রতিবেশীকে ফোন করে বলেন বাড়িতে গিয়ে বাপ্পার খোঁজ নেওয়ার জন্য। প্রতিবেশী এসে দেখেন যে, দোতলার শৌচালয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাপ্পা। এরপরই খবর যায় হরিদেবপুর থানায়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে। ছাদে, মেঝেতে রক্তের দাগের পাশাপাশি ঘরের সব জিনিসপত্রও ছড়ানো ছিটানো ছিল।
আরও পড়ুন, চার রাজ্যে জয়ের রাতেই খড়গপুরের BJP পার্টি অফিসে আগুন, অভিযোগের তির TMC-র বিরুদ্ধে
Memari: রাতে মোমবাতি জ্বলত! বাড়িতে দিদির দেহ আগলে রাখতেন বোন