অসহায় স্বাস্থ্যদফতর, শিশুমৃত্যু নিয়ে মিলছে না রিপোর্ট
সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর হার জানতে এসএমএস বেসড ডেইলি রিপোর্টিং ব্যবস্থা চালু করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু শুরুর একমাসের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ল এই নতুন ব্যবস্থা। কোনও সরকারি হাসপাতাল থেকেই শিশু মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। হাসপাতালগুলি ঠিকঠাক রিপোর্ট না-দেওয়ায় শিশুমৃত্যু রুখতে দফতরের সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার মুখে।
সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর হার জানতে এসএমএস বেসড ডেইলি রিপোর্টিং ব্যবস্থা চালু করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু শুরুর একমাসের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ল এই নতুন ব্যবস্থা। কোনও সরকারি হাসপাতাল থেকেই শিশু মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। হাসপাতালগুলি ঠিকঠাক রিপোর্ট না-দেওয়ায় শিশুমৃত্যু রুখতে দফতরের সমস্ত পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার মুখে।
রাজ্যে একের পর এক সরকারি হাসপাতালে নবজাতক এবং শিশুমৃত্যুর ঘটনা বাড়তে থাকায় একগুচ্ছ নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষনা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। যার মধ্যে অন্যতম-এসএমএস বেসড ডেইলি রিপোর্টিং ব্যবস্থা। রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালকে প্রতিদিন শিশুমৃত্যু এবং প্রসব সংক্রান্ত যাবতীয় পরিসংখ্যান এসএমএস করে পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। এমনটাই ছিল নির্দেশ।
গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে সবকটি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা, ব্লক হাসপাতালে চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা। কিন্তু নির্দেশই সার। স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, কোনও সরকারি হাসপাতাল শিশুমৃত্যু এবং প্রসব সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত পাঠাচ্ছেন না স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, পয়লা মার্চ থেকে ২৮ মার্চের মধ্যে কোনও তথ্য স্বাস্থ্য ভবনে পাঠায়নি এসএসকেএম, এনআরএস, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। একই অবস্থা জেলাগুলিতেও। বারুইপুর, ক্যানিং, রামপুরহাট, ডোমকল, চাঁচল মহকুমা হাসপাতাল। শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ জেলা হাসপাতাল। হাবরা, ভাটপাড়া, গাববেড়িয়া এবং হাওড়া টিএল জয়সওয়াল হাসপাতাল থেকেও শিশু মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাঠানো হয়নি স্বাস্থ্য ভবনে। স্বাস্থ্য দফতরে তথ্য না-পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতালগুলি।
হাসপাতালগুলি শিশু মৃত্যু ও প্রসব সংক্রান্ত রিপোর্ট না-পাঠানোয় ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিকে নোটিস পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। অনিয়মিত রিপোর্টের জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে রাজ্যের ৮টি মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা সহ ১৪টি জেলার আরও ২৮টি সরকারি হাসপাতালকে।