হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের জের, করা নিরাপত্তা কলকাতা জুড়ে

হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের পর কলকাতা সহ দেশের সবকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিরাপত্তা কয়েরগুণ বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের পাশাপাশি কলকাতাতেও শুরু হয় তল্লাসি। বিস্ফোরণের পরই বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। শহরের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সব ধরনের গাড়ি থামিয়ে তল্লাসি চালায় পুলিস। তল্লাসি চলে বিমানবন্দর সংলগ্ন অঞ্চল ও রেল স্টেশনগুলিতে।  মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাতে শহরের বিভিন্ন থানা ও এলাকা পরিদর্শন করেন নগরপাল সুরজিৎ করপুরকায়স্থ।

Updated By: Feb 21, 2013, 10:55 PM IST

হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের পর কলকাতা সহ দেশের সবকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিরাপত্তা কয়েরগুণ বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের পাশাপাশি কলকাতাতেও শুরু হয় তল্লাসি। বিস্ফোরণের পরই বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। শহরের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সব ধরনের গাড়ি থামিয়ে তল্লাসি চালায় পুলিস। তল্লাসি চলে বিমানবন্দর সংলগ্ন অঞ্চল ও রেল স্টেশনগুলিতে।  মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে রাতে শহরের বিভিন্ন থানা ও এলাকা পরিদর্শন করেন নগরপাল সুরজিৎ করপুরকায়স্থ।
হায়দারাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরের পাশাপাশি কলকাতাতেও জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। টালা থেকে টালিগঞ্জ। বালি থেকে বালিগঞ্জ। সর্বত্রই পুলিসি নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মত। রাস্তায় নেমে পড়েন পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মেট্রো স্টেশনে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী। শহরের সবকটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ পাঠানো হয়।
সিঁথির মোড় থেকে শুরু করে শ্যামবাজার, বড়বাজার, কলেজ স্ট্রিট ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট, এক্সাইড মোড়, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট মোড়, ঢাকুরিয়া, যাদবপুর, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, গড়িয়া। শহরের সবকটি গুরুত্বপূর্ণ  এলাকার রাস্তায় বাড়ানো হয় নজরদারি। ট্যাক্সি, অটো, বাস, মিনিবাস, মোটরসাইকেল থামিয়ে চলে তল্লাসি। উচ্চপদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতেই তল্লাসি চালান পুলিসকর্মীরা।  
পার্কস্ট্রিট অঞ্চলে তল্লাসির সময় হাজির ছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল ডিএন সিং। শহরের কেন্দ্রস্থল ধর্মতলাতেও দেখা গেল পুলিসি নিরাপত্তার কড়াকড়ি। 
শুধু নির্দেশ নয়। রাতে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বেরিয়েছিলেন নগরপাল নিজেই। প্রগতি ময়দান থানা থেকে পরিদর্শনের কাজ শুরু করেন তিনি। পূর্ব যাদবপুর, যাদবপুর থানা সহ কলকাতার বেশকয়েকটি থানায় গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন নগরপাল। এরপর ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছে পুলিসের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে তল্লাসি অভিযানে নজরদারি চালান সুরজিত করপুরকায়স্থ।
শহরের অন্যতম প্রবেশদ্বার হাওড়া ব্রিজ। সেখানেও রাতভর গাড়ি থামিয়ে চলেছে তল্লাসি। পরীক্ষা করা হয় গাড়ির কাগজপত্র।
তবে হাওড়া স্টেশনের ছবিটা ছিল আলাদা। সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও, তল্লাসির উপর সেভাবে জোর দেওয়া হয়নি। ফলে কার্যত বিনা বাধায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা।
শিয়াদহ স্টেশনেও দেখা যায় নিরাপত্তার ঢিলেঢালা চেহারা। শুধু যাত্রী নয়। তাঁদের মালপত্রেরও তল্লাসি নেওয়ার তাগিদ ছিল না কর্তব্যরত রেল পুলিসকর্মীদের। ফলে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের পর রেলের এই ঔদাসিন্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
 

.