মধ্যমগ্রামকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নয় কেন, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট
মধ্যমগ্রামকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্ত নয়, রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইল হাইকোর্ট। রাজ্যকে সাতদিনের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মধ্যমগ্রামকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্ত নয়, রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইল হাইকোর্ট। রাজ্যকে সাতদিনের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলা চলাকালীন বিচারপতি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনীতি হওয়া উচিত নয় বলেও মনে করে আদালত। গত ছয়ই জানুয়ারি সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা করে নির্যাতিতার পরিবার।
রাজ্য প্রশাসনে আস্থা হারিয়ে গতকাল দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে নিগৃহীতার পরিবার। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁরা সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছি লেন। সঙ্গে ছিলেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাট এবং শ্যামল চক্রবর্তী। নিগৃহীতার বাবা জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার আগে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মার সঙ্গেও দেখা করেছিল নির্যাতিতার পরিবার।
সুবিচারের দাবিতে গত বছর রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছিল কামদুনি, খরজুনার নির্যাতিতার পরিবার। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই একই ছবি। রাজ্য প্রশাসনের তদন্তে আস্থা হারিয়ে রাষ্ট্রপতির শরনাপন্ন হলেন মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে নিগৃহীতার পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন নিগৃহীতার বাবা ও এক আত্মীয়। সঙ্গে ছিলেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাট ,শ্যামল চক্রবর্তী। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিগৃহীতার বাবা জানান, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এই ঘটনাকে দেশের ইতিহাসে বিরলতম অপরাধ বলে দাবি করেছে বাম নেতৃত্ব। একইসঙ্গে তাদের অভিযোগ,নিগৃহীতার পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। রাজ্যের তরফে সুবিচার না পাওয়াতেই নিগৃহীতার পরিবারকে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে হয়েছে। নিগৃহীতার পরিবারের লড়াইয়ে বামপন্থী মহিলা সংগঠন পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাট। নিগৃহীতার মা এদিন দেখা করতে পারেননি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি যেতে পারেননি । এদিনও নিগৃহীতার পরিবার দাবি করেছে, তাঁরা দোষীদের ফাঁসি চান।
রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার আগে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতার বাবা।