পিঠ বাঁচাতে ও সস্তার জনপ্রিয়তা কুড়োতেই এনকাউন্টার তেলেঙ্গানা পুলিসের: কৌশিক
শুক্রবার ভোররাতে পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ধৃত ৪ জনকে এনকাউন্টারে খতম করে তেলেঙ্গানার পুলিস।
![পিঠ বাঁচাতে ও সস্তার জনপ্রিয়তা কুড়োতেই এনকাউন্টার তেলেঙ্গানা পুলিসের: কৌশিক পিঠ বাঁচাতে ও সস্তার জনপ্রিয়তা কুড়োতেই এনকাউন্টার তেলেঙ্গানা পুলিসের: কৌশিক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/12/06/222488-kaushiktelengana.jpg)
মৌমিতা চক্রবর্তী: নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ও সস্তার জনপ্রিয়তা কুড়োতেই তেলেঙ্গানার পশু চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্ত ৪ জনকে এনকাউন্টার করেছে পুলিস। এমনটাই মত অভিনেতা কৌশিক সেনের। তাঁর কথায়, ''পুলিস তত্পর হলে এনকাউন্টার করতে লাগে না। সবাই খুশি হচ্ছি। মনে হচ্ছে, আদালত বলে কিছু নেই। মনে নিলাম রেপ কেসে এনকাউন্টার করা হবে। ধর্ষকদের আর বিচারের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাব না। আমার তাতে আপত্তি নেই। এটা ভাবারও কারণ নেই, হায়দরাবাদ পুলিস সুবিচার করল।''
শুক্রবার ভোররাতে পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ধৃত ৪ জনকে এনকাউন্টারে খতম করে তেলেঙ্গানার পুলিস। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপচে পড়ছে প্রশস্তি। আবার বিরুদ্ধমতও রয়েছে। জি ২৪ ঘণ্টাকে কৌশিক সেন বলেন,''আমি নিজেও খুশি বেশ হয়েছি। এই লোকগুলোর বেঁচে থাকার মানে হয় না। তবে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এটা করেছে পুলিস। পশু চিকিতসকদের সঙ্গে যখন ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন বিভিন্ন থানায় ঘুরে পুলিসের সহযোগিতা পায়নি ওর পরিবার। সারা ভারত জুড়েই একই ছবি। পশ্চিমবঙ্গ বা হায়দরাবাদ আলাদা নয়?
ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘসূত্রিতার জন্য পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অভিনেতা। তাঁর কথায়,''ধর্ষণের ঘটনাকে গুরুত্ব দেয় না পুলিস। অভিযোগ দায়ের হয় না। তথ্য-প্রমাণ আদালতে পৌঁছয় না বলেই তো এতদিন ধরে বিচার চলে। পুলিস তত্পর হলে এনকাউন্টার করতে লাগে না। সবাই খুশি হচ্ছি। মনে হচ্ছে আদালত বলে কিছু নেই। মেনে নিলাম ধর্ষণ মামলার দোষীদের আর বিচারের মধ্যে নিয়ে যাব না। আমার তাতে আপত্তি নেই। এটা ভাবারও কারণ নেই, হায়দরাবাদ পুলিস সুবিচার করল। দেশজুড়ে সমালোচনা, ও মুখ্যমন্ত্রী ভুলভাল বলেছেন, সে কারণে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে সস্তায় জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে পুলিস। ''
রাজনৈতিক প্রভাবসম্পন্ন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৌশিক। বলেন,''উন্নাওয়ের ঘটনায় সরাসরি বিজেপি কর্মীরা জড়িত। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বিশাল। উত্তরপ্রদেশের বিজেপির বিধায়ক জেলে। এদের সবার সঙ্গে হায়দরাবাদের মতো ব্যবস্থা করা হোক। এখানে বিভেদ করা হবে না তো! বিজেপি নেত্রীই বলছেন, হায়দরাবাদ পুলিসকে ধন্যবাদ জানাই। তাহলে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।''
কৌশিকের মতে, দেশে একটা মধ্যযুগীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েদের পোশাকে ঢেকে রাখতে চাইছে একদন। আর বিচার করতে না পারলে গুলি করে মেরে দাও। এখানে সংবিধান আইনের কোনও জায়গা নেই বলে মনে হচ্ছে। এর পাশাপাশি সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন কৌশিক সেন। বলেন,''ঋদ্ধি অনেক সময় রাত ১২ টায় বাড়ি ফেরে। ওর জায়গায় মেয়ে থাকলে ৫ মিনিট অন্তর অন্তর ফোন করতাম। সতর্কতার চেয়েও এটা লজ্জার। আমি লজ্জিত।''
আরও পড়ুন- রাজ্যের ২৪টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি, দেখে নিন