বিজেপিতে তৃণমূলীকরণ! সংগঠন দাঁড়ানোর আগেই রাজ্য অফিসে বিক্ষোভ শ পাঁচেক কর্মীর
বিজেপিতে চলছে সাংগঠনিক রদবদল। একাধিক জেলার সভাপতি পদে নতুন মুখ আসতে পারেন বলে জল্পনা।
অঞ্জন রায়: মণ্ডল সভাপতি নিয়ে বিবাদ লেগে রয়েছে জেলায় জেলায়। বিজেপির জেলা সভাপতিদের নিয়েও অসন্তোষ, কোন্দল তুঙ্গে। এবার নেতৃত্বের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিল রাজ্য দফতরের সামনে কর্মীদের বিক্ষোভ। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বীরভূম জেলার শ পাঁচেক কর্মী। তাঁদের দাবি, জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে অবিলম্বে সরাতে হবে।
বিজেপিতে চলছে সাংগঠনিক রদবদল। একাধিক জেলার সভাপতি পদে নতুন মুখ আসতে পারেন বলে জল্পনা। বীরভূমে শ্যামাপদ মণ্ডলই সভাপতি পদে থেকে যাবেন বলে খবর। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদিন মুরলিধর লেনে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। বীরভূমের বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল তৃণমূলের লোকজনের দলে নিচ্ছেন। পঞ্চায়েত ভোটে যারা বিজেপিকে মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা দিয়েছিল, তারাই এখন দলের মণ্ডল সভাপতি। রাজ্য অফিসের ভিতরে ঢুকতে চেয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের কোনওক্রমে আটকানো হয়। বীরভূমের দু'জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নেতাদের।
বিভিন্ন জেলায় অন্য দল থেকে আসা লোকেদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই কোন্দলে জেরবার বিজেপি। 'বীরভূমে বিজেপিতে তৃণমূলীকরণ মানছি না মানবো না' দাবিতে রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ নজিরবিহীন। সামনে ২০২১ সালের কঠিন লড়াই। তার আগে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে লড়াই আরও কঠিন হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আর বিরোধী দল যদি অন্তর্কলহে জেরবার থাকে, তাহলে আখেরে সুবিধা শাসক দলেরই।
বলে রাখি, রাজ্য বিজেপিতে চলছে সাংগঠনিক রদবদল। ১২০০ মণ্ডল সভাপতির মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে ৮০০ জনের নাম। বাকি চারশো জনের নাম ধাপে ধাপে ঘোষণা করবে দল। মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে জেলায় জেলায় রয়েছে কর্মীদের ক্ষোভ। লাগছে গণ্ডগোলও। অভিযোগ উঠছে, দুদিন আগেও যারা অন্য দলে ছিলেন, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কোথাও টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও উঠছে। বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যে সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৩৮। জেলা সভাপতি পদেও রদবদল হতে চলেছে।
২০২১ সালে বাংলার মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। কিন্তু উপনির্বাচনের ফল এখন তাঁদের চোখের বালি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনে তাই রদবদল করে নিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এটাই শেষ সুযোগ। বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সাংগঠনিক রদবদলে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন মুরলিধর রাও। দুরন্ত সংগঠক হিসেবে বিজেপির অন্দরে সুনাম রয়েছে তাঁর। যুব মোর্চার সভায় বাংলাতেও এসেছিলেন।
আরও পড়ুন- আইপিএলের মাঝে ছেড়েছিলেন ক্যাপ্টেন্সি, এবার সেই দলটাই কিনে নিচ্ছেন গৌতম গম্ভীর!